Last Updated on মার্চ ৭, ২০২৫ by
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মুকুলিত ৯০ ভাগ আমগাছ, গুটি বেরিয়েছে ৫০ ভাগ
দেশের উত্তর-পশ্চিমের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সীমান্তবর্তী জেলা এটি। এই জেলা আম, ধান, পাট, গমসহ অন্যান্য ফসলের উর্বরভূমি। তবে এসবের মধ্যে আম হচ্ছে প্রধান অর্থকরী ফসল।
এই জেলায় রয়েছে শতবর্ষীসহ বিভিন্ন বয়সের ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৪৯০টি আমগাছ। আমবাগানের আয়তন হচ্ছে ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমি। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রায় সকল গাছেই মুকুল এসেছে। জেলায় গড়ে ৯২ ভাগ আমগাছে মুকুল আসে।
সদর উপজেলায় আমগাছ আছে ১১ লাখ ৯ হাজার ৯০০টি। এর মধ্যে মুকুলিত হয়েছে ৯০ ভাগ আমগাছ। এই ৯০ ভাগ গাছের মধ্যে এরই মধ্যে কোনো কোনোটিতে সরিষা দানা আবার কোনো কোনোটিতে মটর দানার মতো আমের গুটি বেরিয়েছে ৫৫ ভাগ।
শিবগঞ্জ উপজেলায় আমগাছ আছে ২২ লাখ ৭৪ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে মুকুল এসেছে ৮৫ ভাগ আমগাছে। এই ৮৫ ভাগ গাছের মধ্যে বর্তমানে সরিষা দানা ও মটর দানার আকারের গুটি বেরিয়েছে ৩৫ ভাগ গাছে।
গোমস্তাপুর উপজেলায় আমগাছ আছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে মুকুলিত হয়েছে ৯৬ ভাগ আমগাছ। এরই মধ্যে ৪০ ভাগ গাছে সরিষা দানা ও মটর দানা সাইজের আমের গুটি দেখা দিয়েছে।
নাচোল উপজেলায় আমগাছ আছে ৩০ লাখ ৪ হাজার ৩৩০টি। এর মধ্যে ৯৩ ভাগ আমগাছে মুকুল এসেছে। এরই মধ্যে ৭০ ভাগ গাছে সরিষা ও মটর দানা আকারের আম লক্ষ করা গেছে ৭০ ভাগ।
ভোলাহাট উপজেলায় আমগাছ রয়েছে ৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি। এর মধ্যে মুকুলিত হয়েছে ৯৫ ভাগ আমগাছ। বর্তমানে ৪৫ ভাগ গাছে সরিষা দানা ও মটর দানা আকারের আমের গুটি বেরিয়েছে।
এসব তথ্য জানিয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন— এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় যথাসময়ে আমগাছগুলো মুকুলিত হয়। যারা আমগাছের পরিচর্যা করেছেন, তাদের গাছে বেশি মুকুল এসেছে এবং টিকেও গেছে। তবে যারা পরিচর্যা করেনি, তাদের গাছগুলোয় কিছুটা মুকুল নষ্ট হয়েছে।