চাঁপাইনবাবগঞ্জে চরাঞ্চলের সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে ‘দিয়াড় উপজেলা’ গঠনের দাবি, কার্যকরী ও উপদেষ্টা কমিটি গঠন

47

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর, ইসলামপুর, সুন্দরপুর, নারায়ণপুর, চরবাগডাঙ্গা, শাজাহানপুর ও আলাতুলি এই সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে ‘দিয়াড় উপজেলা’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন দিয়াড়বাসী। দাবি আদায়ের লক্ষে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যকরী ও ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম সভাপতি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম সদস্য সচিব মনোনীত হয়েছেন। ওই সাত ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও শিক্ষকদের সদস্য করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে  শুক্রবার বেলা ১০টায় সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রফেসর আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন, জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. আশরাফুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোখলেসুর রহমান, দেবীনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপু, সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, রাজশাহীস্থ দেবীনগর সমিতির সভাপতি ওসমান গনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল ইসলামসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণের ফলে দিয়াড় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। দিয়াড় তথা চরাঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। উল্লিখিত ইউনিয়নগুলো নিয়ে আলাদা একটি উপজেলা হলে দিয়াড়াঞ্চলের মানুষের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ থানা হবে, সরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা হবে, হাসপাতাল হবে, পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে আরো জোরালো পদক্ষেপ নেয়া যাবে, নদীর পানি ব্যবহার করে ফসল উৎপাদনে কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে। পিছিয়ে থাকা দিয়াড়ের মানুষগুলোর জীবনমান উন্নত হবে। দেশের উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে।
অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম তার বক্তব্যে জানান, দিয়াড়ের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন আহমেদ স্বপ্ন দেখেছিলেন আলাদা একটি উপজেলার। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাত ইউনিয়নবাসীকে একাট্টা হতে হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান তোতা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ বাবু, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আসাফুদ্দৌলাসহ শিক্ষক, রাজনৈতিক নেতৃবন্দ ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ।