চাঁপাইনবাবগঞ্জে কাল থেকে শুরু হচ্ছে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয়

21

পবিত্র রমজান মাসে নি¤œআয়ের মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেজন্য সারাদেশে আগামীকাল রবিবার থেকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় শুরু হবে। তারই অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভায় প্রথম ধাপে ১ লাখ ৩০ হাজার ৩২০ জন নি¤œআয়ের মানুষ এসব পণ্য কেনার সুযোগ পাবে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম ধাপের বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। ২১০টি স্থানে ৩১ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতি কেজি ৬৫ টাকা হিসাবে ২ কেজি ডাল, প্রতি কেজি ৫৫ টাকা হিসাবে ২ কেজি চিনি ও প্রতি লিটার ১১০ টাকা হিসাবে ২ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রয় করা হবে।
গত শুক্রবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান এই তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক জানান, ১ লাখ ৩০ হাজার ৩২০ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৩১ হাজার ৮৫৭ জন ও চাঁপইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে ৯ হাজার ৭০৪ জন, শিবগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ৪১ হাজার ৯৯১ জন ও শিবগঞ্জ পৌরসভায় ৩ হাজার ৪২৯ জন, গোমস্তাপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২০ হাজার ৫১৩ জন ও রহনপুর পৌরসভায় ২ হাজার ৯৩৫ জন, নাচোল উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৭৮৯ জন ও নাচোল পৌরসভায় ২ হাজার ৩৫৬ জন এবং ভোলাহাট উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৭৪৬ জন এই খাদ্যপণ্য ক্রয়ের সুযোগ পাবেন।
জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, আমি এ দেশের মানুষের অধিকার চাই’। বঙ্গবন্ধুকন্যা মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁর নেতৃত্বে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে- কাউকে পেছনে ফেলে নয়-সকলকে সঙ্গে নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান, সেই অধিকার প্রতিষ্ঠায় মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। আসন্ন রমজানে স্বল্প আয়ের মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেজন্য তিনি এই জেলায় ১ লাখ ৩০ হাজার ৩২০ জনকে ভর্তুকি মূল্যে ৪৬০ টাকার বিনিময়ে ২ কেজি ডাল, ২ কেজি চিনি ও ২ লিটার করে সয়াবিন তেল ক্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। এ কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে বাজারমূল্য কমবে। ভোক্তা সাধারণ উপকৃত হবে। তিনি বলেন- পণ্যের ওজনে যেন কোনোরকম অনিয়ম না হয় তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পণ্য প্যাকেট করে দেয়া হচ্ছে। এডিএম থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা রাতদিন শ্রম দিয়ে পণ্যগুলোর প্যাকেট তৈরি করেছেন। এ সময় তিনি বিক্রয় কার্যক্রমে সকলের সহযোগিতা আশা করেন তিনি।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, সহকারী কমিশনার আনিসুর রহমান, সহকারী কমিশনার রওশনা জাহান ও তৌফিক আজিজসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।