চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দুই লাখ পরিবারে ত্রাণ বিতরণ

60

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মঙ্গলবার (১২মে) পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারিভাবে প্রায় দুই লাখ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণের মধ্যে ছিল জিআর চাল ও জিআর টাকা এবং শিশু খাদ্য।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত জিআর চালের পরিমান, ১৬৪৮ মে.টন, এরমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ১২১৪ মে.টন, মজুদ আছে ৪৩৪ মে.টন। অন্য দিকে জিআর টাকা বরাদ্দের পরিমান ৮৯ লাখ ৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বিতরণ হয়েছে ৬১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। হাতে রয়েছে ২৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
অপর দিকে শিশু খাদ্যখাতে বরাদ্দের পরিমান হচ্ছে ২২ লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। হাতে আছে ২ লাখ টাকা।
ওই সূত্রমতে শিবগঞ্জ উপজেলায় জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৮৬ মে.টন, জিআর টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং শিশুখাদ্য বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
ভোলাহাট উপজেলায় চাল ৯৪ মে.টন, ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা, শিশু খাদ্য বাবদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
গোমস্তাপুর উপজেলায় ১৪৫ মে.টন চাল, ৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা, শিশু খাদ্য বাবদ ৩ লাখ টাকা।
নাচোল উপজেলায় ৯৪ মে.টন চাল, ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা এবং শিশু খাদ্য বাবদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
জেলার সদর উপজেলায় ২৮০ মে.টন চাল, ১০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং শিশু খাদ্য বাবদ ৪ লাখ টাকা। এই বরাদ্দ জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের করোনায় কর্মহীন পরিবার গুলোর জন্য।
এছাড়া শিবগঞ্জ পৌরসভায় ৯২ মে.টন চাল, ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং শিশু খাদ্য বাবদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে রহনপুর পৌরসভায় চাল ৫৩ মে.টন, ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং শিশু খাদ্য বাবদ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে নাচোল ফৌরসভায় ৫৩ মে.টন, ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা এবং শিশু খাদ্য বাবদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় চাল ১১৭ মে.টন, ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং শিশু খাদ্য বাবাদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান ফৌজদার এইসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের অনুকূলে এবং পৌর মেয়রদের অনুকূ বরাদ্দগুলো দেয়া হয়েছে। ইউনিয়নেরগুলো ইউনয়িন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার বরাদ্দকৃত চাল ও টাকা পৌর মেয়রগণ বিতরণ করেন। সুষ্ঠুভাবে বিতরণের জন্য ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়।