বিপাশা রবি দাস
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেই দাম কমবে বলে বিক্রেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করলেও, তা ঘটেনি। শুক্রবার জেলাশহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে শীতকালীন সবজির দাম এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি। বেড়ে গেছে আলু, বেগুন ও টমেটোর দাম। পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। অন্যদিকে আমদানি কম থাকায় ইলিশ ও নদীর মাছের দাম বেড়ে গেছে। সেই সাথে বেড়েছে মুরগির দামও।
সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম ও অব্দুল রশিদ জানান, এ সপ্তাহে কিছু কিছু সবজির দাম কমেছে। তবে যেসব সবজির দাম কমার আশা করা হচ্ছিল সেগুলো কমেনি। তারা জানান, গত সপ্তাহে আলু বিক্রি করেছেন ৪০ টাকা কেজি দরে। আর আজ শুক্রবার পাইকারিতে ৪৪ টাকায় কিনে এনে বিক্রি করছেন ৪৮ টাকা কেজি দরে। এছাড়া দেশী টমেটো ১২০ থেকে বেড়ে ১৪০ টাকা, ইরি বেগুন ৬০ টাকা, ঘিওন বেগুন ৬০ থেকে বেড়ে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, দেশী শসা ৭০ থেকে কমে ৬০ টাকা, শিম ১৪০ থেকে কমে ৮০ টাকা, দেশী করলা ১২০ থেকে কমে ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ থেকে কমে ১৪০ টাকা, ধনে পাতা ২০০ থেকে কমে ১০০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০ থেকে কমে ৬০ টাকা, ফুলকপি ১০০ থেকে কমে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজি বাজারে আসার পরেও দাম না কমার কারণ হিসেবে তারা বলেন, সবজির সঠিক সরবরাহ না থাকায় এই অবস্থা। সরবরাহ ঠিক থাকলে দামও সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে অভিমত তাদের।
মাছ বিক্রেতা মুকুল রহমান ও মুমতাজুল আলী জানান, আজ শুক্রবার বাজারে বড় মাছের দাম খুব একটা কমবেশি না হলেও নদীর মাছের দাম অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বাচা মাছ ২৪০ থেকে বেড়ে ৪০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে বেড়ে ৫২০-৫৫০ টাকা, দেশী ট্যাংড়া ৫০০-৫২০ টাকা, ঘেরা মাছ ৮০০ টাকা, গোটি ২৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৬৫০ টাকা, দেশী চিংড়ি ৮০০-৮২০ টাকা, আইর ৫২০ টাকা এবং বড় বাচা ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশ মাছ বিক্রেতা শুকুরউদ্দিন বলেন, ইলিশের আমদানি কম থাকার জন্য এর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেশি। এক কেজি ২০০ গ্রামের ইলিশ ৯০০-৯৫০ টাকা, এক কেজির ইলিশ ৭৫০-৮০০ টাকা এবং পাঁচশ গ্রামের ইলিশ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদিবাজারের সাদিরুল ইসলাম ও রাজকুমার সাহা বলেন, দেশী পেঁয়াজ ৮০-৮৫ থেকে কমে ৬৫-৭০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৫০-৫৫ থেকে কমে ৪৫ টাকা, দেশী রসুন ১০০-১২০ টাকা, বিদেশী রসুন ৮০-৮৫ টাকা, দেশী রসুন ১১০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা, আটাস চাল ৪৮-৫০ টাকা, চিনি ৬০-৬২ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলর দাম বেড়ে ১০৪-১০৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৫ লিটার ওজনের প্যাকেটজাত তেলের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৩০-৫৪০ টাকা। অন্যান্য সকল পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
এদিকে মুরগি বিক্রেতারা জানান, বাজারে মুরগির দাম বেড়ে গেছে। শুক্রবার বাজারে ব্রয়লার ১১৫-১২০ থেকে বেড়ে ১২০-১২৫ টাকা, সোনালি ১৬০-১৬৫ টাকা, লাল লেয়ার ১৭০-১৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৬০-১৭০ টাকা এবং প্যারেন্স ১৯০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।