চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নিউমার্কেট ও পুরাতন বাজার ঘুরে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছ। বিদেশি পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৭৫-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শসা ও কাঁচামরিচের দাম। অন্যদিকে কামেছে মাছের দাম। গরু ও খাসির মাংস গত সপ্তাহের দামেই বেক্রি হতে দেখা গেছে।
নিউমার্কেট কাঁচা বাজারে নাম ্রপকাশে অনিচ্ছুক মুদি পণ্য বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় অন্যান্য পণ্যের দাম অপরির্তিত থাকলেও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছ ৬০ টাকা কেজি দরে। এবং দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৬২-৬৫ টাকা এ সপ্তহে দাম বেড়ে বিক্রে হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে। তারা আরো জানান আমরা পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসি। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি তাই আমাদেরও বেশি বিক্রি করতে হচ্ছে। অপর দিকে, পুরাতন বাজারের পেঁয়াজের আড়তদার ফজিল ও তোফিক বলেন, পেঁয়াজের দর বাড়ার কারণ হলো ভারত পেঁয়াজ দিচ্ছে না।
এদিকে মাছ বিক্রেতা সাবের আলী ও জয়নুল আবেদি বলেন, বৃষ্টি কারণে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম থাকায় মাছের দাম কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকা কম। আজ বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ৬০০ টাকা, ১০০০ গ্রামের ইলিশ ৮৫০ এবং ১৩০০-১৪০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০-১৩০০ টাকা, ৮০০ গ্রামের মিড়কা ১৭০, কাতল ২৮০, রুই ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খুচরা মাছ বিক্রেতা মুমতাজুল আলী বলেন, বাজরে মাছ কম তবুও নদীর মাছের প্রায় ৮০-১০০ টাকা কমেছে। টাকি মাছ প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০, বাইল্য মাছ ৬০০, দেশি চিংড়ি ৭০০, বাচা মাছ ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
বাজারে সবজি বিক্রেতা আব্দুর রশিদ ও আফগার বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে শসা ও কাঁচা মরিচের দাম। গত কালও কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা কেজি দরে আর আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি দরে এবং শসা গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম অপারিবর্তিত রয়েছে। আজ পেঁপে ২০ টাকা কেজি, করোলা ৭০, বেগুন ৫০, লিছিন্দা ৫০, ঝিঙ্গা ৩৫, পটল ৩০, কচু ৩৫ টাকা কেজি দরে।
মুরগি বিক্রেতা শামিম ও সাদিকুল বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগির দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা কমেছে। শুক্রবার বাজারে দেশি মুরগি ৩০০, পাকিস্তানি ১৯০, প্যারেন্স ২৪০, লেয়ার ২০০, ব্রয়লার ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
মুুদি বাজার করতে আসা মোজাম্মেল হক বলেন, বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিক লাগলেও পেঁয়াজের দাম বেশি। আরেক ক্রেতা ফজলে রাব্বিও বলেন, সবজির দাম স্বাভাবিক থাকলেও দাম বেশি পেঁয়াজের। মানিক মিঞা বলেন, আমি এর আগে পেঁয়াজ নিয়ে গেছি ৩০ টাকা কেজি দরে আর আজ নিলাম ৭০ টাকা কেজি দরে, এটাতো আমাদের জন্য ব্যয় বহুল হয়ে পড়েছে। পেঁয়াজ ক্রেতা আকবর আলী বলেন, এর আগে পেঁয়াজ নিয়েছি ৫২ টাকায় আর আজ নিল ৬০ টাকা। আরো বলেন, পেঁয়াজের ব্যাপারে সরকারকে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া দরকার। সোহেল বলেন, পেঁয়াজের দাম বেশি হলেও আমাদের কিছু করা নেই, আমাদের কিনতে হবে খেতে হবে। এই নিয়ে একটু খারাপ লাগছে, এর আগে ছিলো ৪০ টাকা হটাৎ করে ৯০ টাকা হয়ে গেলো।