চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত কাল শুক্রবার কন্যা শিশুদিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ৬ সফল কিশোরীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বাল্য বিয়ের হার অত্যন্ত বেশি উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেছেন-চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় শুধু দারিদ্র্যতার কারণেই বাল্য বিয়ে দেওয়া হচ্ছে না, এই জেলায় অসচেতনতা এবং সামাজিক গোঁড়ামির কারণেও বাল্য দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটিকে রোধ করতে না পারলে উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হবে। তিনি বলেন-আইন প্রয়োগে প্রশাসনের কিছু সীমাবদ্ধতরা থাকার পরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই জেলায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি প্রশাসনের কার্যক্রমকে সহযোগিতার জন্য স্বর্ণ কিশোরী ও স্বর্ণ জয়ি কিশোরীসহ সমাজের সচেতন মানুষকে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে অসচেতন মানুষকে সচেতন করার কাজে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
কন্যা সন্তান না ভেবে মানুষ হিসেবে আহবান জানান বক্তারা।
সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মিহলা বিষয়ক অধিদপ্তর এই কর্মসূচির আয়োজন করে। জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাহিদা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এরশাদ হোসেন খান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মমতা বেগম, মার্জিনা হক, সালেহা বেগম লিজা, রোকসা আহমদ, ইয়ামিন সুলতানা রুমা, স্বর্ণ জয়ি মাউনজেরা বর্ণা, স্বর্ণ কিশোরী ফারিয়া পারভীন প্রমুখ।
পরে ১ স্বর্ণ কিশোরী ফারিয়া পারভীন ও ২০১৬ সালে ৩৪তম জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ জয়ি মাউনজেরা বর্ণা, চলতি বছর ফেডারেশনকাপ কারাতে চ্যাম্পিয়নশীপে স্বর্ণ জয়ি আশা খাতুন, একই প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ জয়ি বৃষ্টি খাতনু, ২০১৬ সালে বিজয় দিবস কারাতে প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ জয়ি মমিরুন খাতুন ও আন্ত:জেলা জুডো প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ জয়ি কিশোরী মায়েমা জামানকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
গোমস্তাপুর প্রতিনিধি :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হওয়া র্যালিতে অংশ নেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাইরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ আহমেদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরুন কুমার পাল।