শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪ by

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজার, হালিতে ২ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে হালিপ্রতি ২ টাকা। মাছের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ার কারণ বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে সব ধরনের চালসহ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
শুক্রবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাশহরের নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান বাবু জানান, গত সপ্তাহের মতনই রয়েছে চালের দাম। জিরাশাইল প্রতি কেজি ৬৫-৭০ টাকা, আটাশ ধানের চাল প্রতি কেজি ৬০-৬২ টাকা, লাল স্বর্ণা ধানের চাল ৫৪ টাকা, সাদা স্বর্ণা ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, ডালের দাম আগের মতনই রয়েছে। মসুর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০-১২০ টাকা, দেশী ছোলার ডাল ১২৫ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১০০-১১০ টাকা, মটর ডাল ১২০-১২৫ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৯০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। খোলা গমের আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৮ টাকা থেকে বেড়ে ৪২ টাকা, প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৬৭ টাকা ও খোলা সয়াবিন ১৬২ টাকা লিটার, চিনি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা এবং দেশী পেঁয়াজ ১১৫-১২০ টাকা এবং ভারতীয়টা ১০০-১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে সবজি বিক্রেতা আব্দুল খালেক জানান, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, পটোল ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ১৮০-২০০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, কাঁচকলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪৫-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কুমড়াজালি প্রতি পিস ৩৫-৪০ টাকা ও লাউ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ডিম ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫২ টাকায়।
এদিকে মুরগি বিক্রেতা আলম জানান, দেশী মুরগি গত সপ্তাহে ৪৬০ টাকা থাকলেও শুক্রবার দাম কিছুটা কমে কেজিপ্রতি ৪২০-৪৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে, ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭০ টাকা, প্যারেন্স ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, সোনালি ২২০-৩০০ টাকা, সাদা লিয়ার ২৮০ টাকা ও লাল লিয়ার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মাংস বিক্রেতারা জানান, গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে মাছ বিক্রেতারা জানান, মাছের সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের মাছের দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। রুই মাছ ওজনভেদে ২৪০ টাকা থেকে ৩৮০ টাকা, কাতল মাছ ৩৬০ টাকা থেকে ৪৬০ টাকা, পাঙ্গাস ২২০ টাকা, সিলভার কার্প ২২০ টাকা, দেশী ছোট চিংড়ি ১ হাজার টাকা, চাষের চিংড়ি ৮০০ টাকা, দেশী সিং ৮০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।

About The Author

শেয়ার করুন