চাঁপাইনবাবগঞ্জে উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা

105

 

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। অনেকেই সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে। তুলামূলকভাবে নমুনা সংগ্রহের হার কম হলেও গত দুই থেকে তিন দিনের সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষায় ৫০ ভাগেরও বেশি মানুষের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার নতুন করে আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গেছে। এই দিন জেলায় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭৩ জন।
গত ২০ মে বৃহস্পতিবারর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি ল্যাবে পরীক্ষার পর ১১৮ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ৭৩ জন শনাক্ত হন। এছাড়া র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় শিবগঞ্জের ১১ ও গোমস্তাপুরের ৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। সিভিল সার্জন জাহিদ নজরুল চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নতুন করে শনাক্তদের তথ্য ও অবস্থান যাচাই করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন আরো বলেন, বৃহস্পতিবার ও গত বুধবার এই দুই দিনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটের ১ জন করে আরো ৩ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে শিবগঞ্জ ও ভোলাহাটের দুজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে মারা গেছেন। সদরের ১ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে মারা গেছেন। সদর ও ভোলাহাটের মৃত দুজন র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজিটিভ ছিলেন। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় গত ১ মার্চ হতে গত ২০ মে পর্যন্ত ১ হাজার ২১৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১ হাজার জন সুস্থ হয়েছেন। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারা গেছেন ১১ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৫ জন। চিকিৎসাধীন রোগী এখন ১৯২ জন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, জেলা থেকে গত বুধবার পর্যন্ত সংগৃহীত নমুনার এখনো ফলাফল পাওয়া যায়নি ৮৭টির। গত বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৬ জন ভর্তি ছিলেন। মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ১৭ জন, শিবগঞ্জ উপজেলার ৬ ও ভোলাহাট উপজেলার ২ জন রয়েছেন।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জনসাধারণকে মাস্ক পরতে বাধ্য করাসহ জনসচেনতায় ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনার এই পরিস্থিতিতে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা শহরের বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহবান জানিয়ে সতর্কবার্তা প্রচার করছে। শহর ও শহরতলীতে এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে কয়েকদিন ধরে।
অন্যেিদক জেলা পুলিশের উদ্যোগেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।