চাঁপাইনবাবগঞ্জর ৫ উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে আরো ৬১৬টি গৃহ পাচ্ছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭১টি, শিবগঞ্জ উপজেলায় ১১৬টি, গোমস্তাপুর উপজেলা ৬৩টি, নাচোল উপজেলায় ২১৬টি এবং ভোলাহাট উপজেলায় ১৫০টি গৃহ রয়েছে। বরাদ্দপ্রাপ্ত গৃহগুলোর মধ্যে এরই মধ্যে ৫৪৬টি গৃহের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবনির্মিত এইসব গৃহ উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। বাকি ৭০টি গৃহের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। শিগগিরই নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং উপকারভোগী পরিবারগুলোর অনুকূলে হস্তান্তর করা হবে। এরই মধ্যে উপকারভোগী পরিবারগুলোর অনুকূলে ২ শতাংশ করে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে এবং কবুলিয়াত দলিল ও নামজারি প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান এসব তথ্য জানান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাকিউল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন- মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে এ জেলার ৫টি উপজেলায় ১ হাজার ৩১৯টি গৃহ উপকারভোগী পরিবারের অনুকূলে হস্তান্তর করা হয় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে এ জেলার ৫টি উপজেলায় ২ হাজার ৬১৯টি গৃহ উপকারভোগী পরিবারগুলোর অনুকূলে হস্তান্তর করা হয়। এ জেলায় ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়সহ মোট ৪ হাজার ৫৫৪টি গৃহ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণির পরিবারের অনুকূলে বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন- ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আগামীকাল মঙ্গলবার জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেনÑ শিগগিরই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণির পরিবারমুক্ত ঘোষণা করার লক্ষে বর্তমানে ‘ক’ শ্রেণির পরিবারের তালিকা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলমান আছে। এই জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ঘোষণা করতে সাংবাদিকের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান।