আদালত প্রাঙ্গনে এসে বিচার প্রার্থী প্রতারিত হলে, ক্ষতিগ্রস্ত সেই বিচার প্রার্থীর দীর্ঘশ্বাস সবার আগে সৃষ্টিকর্তার কাছে পৌঁছায়। তাই উন্নত বিচারের জন্য আইনজীবীদের সঠিক চর্চা (ফেয়ার প্যাকটিস) ও আইনের জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন সর্বোচ্চ আদালতের উচ্চ আদালত বিভাগের বিচারক সৌমেন্দ্র সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি আইনজীবীদের উদ্যোশে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন-যে বার যত সমৃদ্ধ হবে, যত ভাল হবে, শক্তিশালী হবে সেখানকার আদালতে বিচার তত ভাল হবে। না হলে উন্নত বিচার পাওয়া যাবে না। উচ্চ আদালতে টিকবে না। বিচার প্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত বিচারপ্রার্থীর দীর্ঘশ্বাস সবার আগে সৃষ্টিকর্তার কাছে পৌঁছায়। এজন্য আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। বিচারকরা সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধি হিসেবেই পৃথিবীতে বিচারকাজ পরিচালনা করেন আর আইনজীবীরা তাতে সহায়তা করেন।
আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এটা একটা মহৎ পেশা। প্রথমেই ভাববেন না অনেক আয় করতে হবে। টাকার পিছনে ছুটবেন না। আপনার দক্ষতা, জ্ঞান, দায়িত্বশীলতা ও সততা যদি থাকে তবে টাকাই আপনার পিছনে ছুটবে।
তিনি বলেন, বার ও বেঞ্চের সুসম্পর্ক খুবই আবশ্যক। পাখির পালকের সঙ্গে তুলনা করা যায়। একটি পাখির পালক থাকলেই সে উড়তে পারবে। বার ও বেঞ্চের সমন্বয় হলেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাদিকাতুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ এনামুল বারী, প্রবীণ আইনজীবী ইহ্তিশাম-উল-মূলক, শাহজাহান বিশ্বাস, সরকারি কৌসুলী (জিপি) আনোয়ার হোসেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল ইসলাম প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিয়াউর রহমান, প্রধান বিচারিক হাকিম নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির ও বিভিন্ন আদালতের বিচারকসহ আইনজীবীগণ।