চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া দুটি পৃথক মামলায় জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ-জেমমবি’র দুই সদস্যকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রধান করেছে আদালত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্পেশাল ট্রাইবুনাল আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জিয়াউর রহমান বুধবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, গোমস্তাপুর উপজেলার কালাই দিয়াড় গ্রামের মৃত. তৈয়ব আলীর ছেলে আব্দুল মোমিন (৩১) ও ভোলাহাট উপজেলার খড়গপুর খোড়াটোলা গ্রামের তোফাজ্জল হকের ছেলে রমজান আলী (৩০)। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আব্দুল মোমিন উপস্থিত থাকলেও পলাতক রয়েছে অপর আসামী রমজান আলী।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৪ জুন শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলি, অস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামাদি ও জিহাদী বইসহ শিবগঞ্জ উপজেলার খড়গপুর এলাকা থেকে জেএমবি সদস্য আব্দুল মোমিনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ওই দিনই শিবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে মোমিনের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিনদিন পর ১৭ জুন ভোলাহাট উপজেলার খড়গপুর খোড়াটোলা গ্রামের রমজান আলীর বসতবাড়ি থেকে ১ টি সুটারগান,৩ রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও জেহাদি বই উদ্ধার করে পুলিশ। তবে পুলিশ রমজান আলীকে গ্রেফতার করতে পারেনি, তখন থেকেই সে পলাতক আছে। এ ঘটনায় ওই দিনই এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ভোলাহাট থানায় রমজান ও মোমিনের বিরুদ্ধে মামলা দাযর করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওহিদুজ্জামান ২০০৯ সালের ১৪ আগষ্ট রমজান ও মেমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ।
সরকারি কৌশলী(পিপি) জবদুল হক জানান,দুই আসামীর মধ্যে পলাতক রমজান আলীর অনুপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানী শেষে সাক্ষ্য প্রমানের ভিক্তিতে বিজ্ঞ আদালত পৃথক মামলায় দুই জেএমবি সদস্য প্রত্যেককে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন। তিনি জানান, শিবগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আদালত মোমিনকে ২০ বছরের করাদন্ড দেয়। অন্যদিকে ভোলাহাট থানায় দায়ের হওয়া মামলায় রমজান আলীর অনুপস্থিতিতেই আদালত তাকে ২০ বছরের করাদন্ড প্রদান করেন। তবে এই মামলায় খালাস পায় মোমিন।