চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ তম বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডা. আ.আ.ম.মেজবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা ও বেলুন উড়িয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত সচিব) সত্যব্রত সাহা এ প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আনওয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, চাঁপানবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ও অন্যান্য জেলা থেকে আগত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও ক্রীড়া কর্মকর্তাসহ কর্মচারীগণ।
রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর জেলা ও রাজশাহী (মহানগর) কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের সন্তানগণ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। ৮টি জেলা ও রাজশাহী মহানগর থেকে বাছাইকৃত খেলোয়াড়বৃন্দ মোট ৫৮টি ইভেন্টের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এখান থেকে উত্তীর্ণ খেলোয়াড়গণ জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
পরে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সত্যব্রত সাহা বলেন, প্রত্যেক মা-বাবা, অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার সুযোগ করে দেওয়া। শুধু লেখাপড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে তাদের খেলাধুলা করতেও সন্তানদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। কেন না খেলাধুলা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক। যে কোন খেলাধুলায় মানুষের শরীর ও মনকে সুস্থ, সবল রাখে। তাই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের উচিত লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধূলা করা। কেবল সুস্থ শরীরই পারে সুস্থ, সুন্দর জীবন গড়তে। তিনি আরও বলেন, যদি শচীন টেন্ডুলকার শুধু পড়ালেখার মধ্যেই থাকতেন তাহলে আমরা হয়তো তাঁকে চিনতাম না, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো যদি শুধু বই আর খাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতেন তাহলে আমরা এই তারকাকেও হয়তো কখনই চিনতে পারতাম না। এ সময় তিনি তামিম ইকবালের কথা তুলে ধরে বলেন তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলাও করেছেন। তাহলে আমাদের সন্তানদেরও উচিত লেখাপড়ার সাথে সাথে খেলাধুলা করা। আর এই প্রতিটি মা-বাবা, অভিভাবকদেরকে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তাহলে ছেলেমেয়েদের শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে। তারা তাদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারবে। তাদের প্রতিভার বিকাশ হলে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাবে। দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। তাই শুধু বই, খাতা, কলম, স্কুলের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে মানসিক ও শারীরিক বিকাশে খেলাধুলারও প্রতি মনোযোগ দিতে বলেন প্রধান অতিথি সত্যব্রত সাহা।