চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহবুব আলম সিআইপির মর্যাদা পেলেন

747

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. মাহবুব আলম কমার্সিয়াল ইমপর্টেন্ট পার্সন (সিআইপি)’র মর্যাদা পেয়েছেন। বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনিসহ ৪৪ ব্যক্তিকে সিআইপি নির্বাচন করেছে সরকার।
গত সোমবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। সরকার সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী ৬টি ক্যাটাগরিতে ৪৪ ব্যক্তি ২০২১ সালের অবদানের জন্য সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।
মো. মাহবুব আলম ক্ষুদ্র শিল্প (উৎপাদন) ক্যাটাগরিতে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ কৃতী সন্তান বর্তমানে এরফান গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এরফান এগ্রো ফুড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। এফবিসিসিআইয়েরর স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে সিআইপি নির্বাচিত হওয়ায় মাহবুব আলম ব্যবসাবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসইসির প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সেই সাথে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান এরফান গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এরফান আলীর প্রতি। তিনি বলেন, তার (এরফান আলী) হাত ধরেই দ্বিতীয় প্রজন্ম হিসেবে আজ এরফান গ্রুপের একজন গর্বিত সদস্য হতে পেরেছেন। এছাড়াও তিনি বলেন, এই অর্জন এরফান গ্রুপের প্রতিটি সদস্য এবং যাদের কারণে এরফান গ্রুপ আজ এই অবস্থানে আসতে পেরেছে তাদের।
নির্বাচিত সিআইপিরা আগামী এক বছরের জন্য শিল্প মন্ত্রাণালয় থেকে সিআইপি (শিল্প) সংক্রান্ত একটি পরিচয়পত্র পাবেন। পরিচয়পত্রে মেয়াদকাল উল্লেখ থাকবে এবং মেয়াদকালীন পরিচয়পত্রটি বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। ব্যবসা-সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে চলমান সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। ব্যবসা-সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তির জন্য তার অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন প্রদান করবে। স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। মেয়াদকালীন সরকার কর্তৃক তাকে শিল্পবিষয়ক নীতি নির্ধারণী কোনো কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।