চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সারাদেশে শনিবারের দু’দফার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর রবিবার আবারো ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। দুপুর ১ টা ১১ মিনিটের দিকে এ কম্পন অনুভূত হয়। এ সময় অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নিজনিজ বাসভবন থেকে মানুষজন রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। আতংকিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন তারা। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ২ জন ও গোমস্তাপুরে ৮ জন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিজ চেম্বারে কাজ করার সময় ভূকম্পন অনুভূত হলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাকসুদা বেগম সিদ্দীকা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সেবা নিতে আসা লোকজনকে হুড়োগুড়ি করে সিঁড়ি বেয়ে নামতে দেখা গেছে। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও ক্লাসরুম ছেড়ে খোলা মাঠে বেরিয়ে আসেন। শহরের গাবতলা মোড়ে স্বর্ণলতা ভবনটি হেলে গেছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের শিবগঞ্জ প্রতিনিধি আতিক ইসলাম জানান, শিবগঞ্জে আবারও দু’দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। দুপুর ১টা ১৩ মিনিটের সময় ভূম্পকন শুরু হয়। কয়েক সেকেন্ড তা স্থায়ী হয়। এ সময় মানুষজন আতংকিত হয়ে বাড়িঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে যায়। অনেকেই খোলা মাঠের দিকে ছুটে যায়। তবে তাক্ষণিক ভাবে কোন ক্ষয়ক্ষতি খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের গোমস্তাপুর প্রতিনিধি আল মামুন বিশ্বাস জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে রবিবার দুপুরে আবারও ভূমিকম্প শুরু হলে জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আতংকে শিশু-নারীসহ ৮ জন অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে ৭ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরা হলো উপজেলার দোসীমনি কাঠাঁল গ্রামের রবিউলের স্ত্রী নাজিরা (২৫), উদয়নগর গ্রামের রফিকুলের স্ত্রী নারুজা (৩৬), শিবরামপুর গ্রামের আজাহারে ছেলে নয়ন (৯), কাঁঠাল গ্রামের আলিজানের স্ত্রী লাইলী (৪৭), সূলবাড়ী গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে বনি ইসরাইল (৯),বহিপাড়া গ্রামের মহিদুলের মেয়ে নারগিস (১০), কায়েমপুর গ্রামের শরিফুলের ছেলে নয়ন (১১)। এছাড়া রহনপুর পৌর এলাকার নুনগোলা মহল্ল¬ার মাসুদের স্ত্রী সুরাতন (২০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।