Last Updated on নভেম্বর ১১, ২০২৪ by
গ্লেন ফিলিপসের জাদুতে সিরিজে ফিরলো কিউইরা
টি-টোয়েন্টির রোমাঞ্চ বলতে যা বোঝায় সবটাই উপহার দিলো নিউ জিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। তাতে হ্যাটট্রিক করলেন লকি ফার্গুসন, এরপর বল হাতে ঝলক দেখালেন গ্লেন ফিলিপস, ম্যাচ জিতে সিরিজ বাঁচালো নিউ জিল্যান্ড। দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৫ রানে জিতলো নিউ জিল্যান্ড। তাতে সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়। গত রোববার ডাম্বুলায় আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার বোলিং তোপে ১৯.৩ ওভারে ১০৮ রানেই গুটিয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে নিউ জিল্যান্ডের বোলিংয়ের সামনে ধ্বসে পড়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ১ বল বাকি থাকতেই তারাও গুটিয়ে যায় ১০৩ রানে। বৃষ্টির বাধায় প্রায় আধঘন্টা দেরিতে শুরু হয় ম্যাচ। ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নিউ জিল্যান্ড। তাদের মাত্র ২ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। বাকিরা সবাই আউট হয়েছেন মোবাইল ডিজিটের ঘরে। ম্যাচের প্রথম বলে থুশারার দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড হন টিম রবিনসন। পরের ওভারে ফিরে যান মার্ক চ্যাপম্যান। এরপর সপ্তম ওভারে এসে কিউইদের বড় ধাক্কা দেন হাসারাঙ্গা। তিনি বিদায় করেন ফিলিপস ও ব্রেসওয়েলকে। এরপর বিদায় করেন মিচেল ও ৩০ রান করা উইল ইয়াংকে। শেষদিকে মিচেল স্যান্টনার ও জশ ক্লার্কসনের ব্যাটে কোনোমতে একশ পার করে কিউইরা। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কাও। স্যান্টনার ফেরান কুসাল মেন্ডিসকে। এরপরই শুরু ফার্গুসনের ঝড়। একদম গতির ঝড় যাকে বলে। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে কুসাল পেরেরাকে ফিরিয়ে জিইয়ে রাখেন হ্যাটট্রিকের আশা। অষ্টম ওভারে ফিরে প্রথম দুই বলে কামিন্দু মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তিনি। ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দলের একপ্রান্ত আগলে রাখেন নিসাঙ্কা। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি বাকিরা। কিউই বোলারদের ছোবল সামলে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নেন তিনি। কিন্তু শেষ ওভারে ফিলিপসের সামনে আর পারলেন না। ৫১ বলে ৫২ রান করেন নিসাঙ্কা। শেষ ওভারে তিন উইকেট হাতে নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল ৮ রান। ফিফটি করে ক্রিজে ছিলেন নিসাঙ্কা। দ্বিতীয় বলে তাকে ফেরান ফিলিপস। সেখানেই শেষ শ্রীলঙ্কার আশা। পরের তিন বলে বাকি দুই উইকেটও তিনি তুলে নিলে অবিশ্বাস্য জয়ের আনন্দে ভাসে নিউ জিল্যান্ড। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ফার্গুসন। এদিকে ১.৫ ওভার বোলিং করে ৬ রানে সমান ৩ উইকেট শিকার করেন ফিলিপসও। দুটি উইকেট নেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। একটি করে স্যান্টনার ও জ্যাক ফকসের।