ইতিহাস ঐতিহ্যের দিক থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রয়েছে এক অনন্য খ্যাতি। এখানকার বহু ব্যক্তি মনীষী ছড়িয়েছে সমাজে দ্যুতি। আছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। সুস্বাদু মৌসুমী ফল আমের খ্যাতিতে দেশের গন্ডি ছড়িয়ে রয়েছে বিদেশেও। কাঁসা পিতলের বাসনপত্র তৈরী ও ব্যবহারে রয়েছে নান্দনিক প্রকাশ। আর প্রচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের সেই ঐতিহাসিক সোনামসজিদও রয়েছে এখানে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অকুতোভয় যোদ্ধা বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গিরও চির নিদ্রায় শায়িত রয়েছেন এই জেলায়। অর্থাৎ প্রাচীন বাংলার থেকে এই সময়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ছোট্ট এই জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও রক্ষক এই জেলার সমস্যা সম্ভাবনা ও এলাকার মানুষের কথা বলার জন্য গত বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল গৌড় বাংলা। ছোট শহর থেকে এমন একটি দৈনিকের প্রকাশ নি:সন্দেহে সাহসের। অর্থনৈতিক সমর্থন (বিজ্ঞাপনের সীমাবদ্ধতা) তেমন একটা না থাকলেও গত একটি বছর সফলভাবেই পথ পাড়ি দিয়েছে পত্রিকাটি।
জেলা শহরের খবরাখবর তো বটেই সীমিত পরিসরে শত সীমাব্ধতা নিয়ে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হলেও তা যে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে এটা খুব সহজেই বোঝা যায় এর নিয়মিত প্রকাশ থেকেই। কার্যত পত্রিকার পেছনে যারা রয়েছেন তাদের সবার ঐকান্তিক চেষ্টার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের এই পত্রিকাটি দ্বিতীয় বছরে তার পথচলা শুরুর অর্থই হচ্ছে একটি বছর সে যে পথ তৈরী করেছে, পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে সেসব কিছুকে ধরে পেছনের ভুল ভ্রান্তি শুধরে আরও সামনে এগিয়ে যাওয়া। একথা সত্য খবরের পেছনের খবর, সত্যাসত্য বিচার করেই গৌড় বাংলা নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে এবং এই এক বছরের মধ্যেই তার নিজস্ব পাঠক সৃষ্টি করেছে।
কার্যত আঞ্চলিক পত্রিকা তার অঞ্চলের মানুষের সুখ দ:খের কথা, সমস্যা-সম্ভাবনার কথা, ইতিহাস ঐতিহ্যের কথা বলে। সেই সাথে সীমিত পরিসরে হলেও দেশ-বিদেশের কথা তুলে ধরে সেই চেষ্টাই গৌড় বাংলা করে যাচ্ছে। আগামিতে এই প্রয়াস আরও সম্প্রসারিত হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। একটি পত্রিকা সফল হয় এবং টিকে থাকে সবার সহযোগিতার মাধ্যমে। পাঠক, শুভানুধ্যায়, বিজ্ঞাপণদাতা থেকে শুরু করে সব শ্রেণী পেশার মানুষের কাছ থেকে সেই সহযোগিতা পেলে আগামিতে গৌড় বাংলা আরও সুন্দর হয়ে উঠবে। তবে এই কথা বলা যায় ইতিমধ্যে গৌড় বাংলা এই জেলার সব মানুষের মুখপত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।