চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মারা যাওয়ারা হলেন গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের চাঁড়ালডাঙ্গা ঘোড়াদহ গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে বকুল আলী (৪২) ও শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর ছেলে মো. জুরান আলী (৬০)।
আমাদের গোমস্তাপুর প্রতিনিধি আল মামুন বিশ^াস জানান, শনিবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ ও ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, বকুল আলীর গভীর নলকূপটি একাধিকবার নষ্ট হয়। কয়েকদিন আগে বিদ্যুতের সর্টসার্কিট থেকে পুনরায় গভীন নলকূপের যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। এতে সে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে এবং শুক্রবার রাতে পরিবারের অজান্তে বাড়িতে থাকা কীটনাশক পান করে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) নিয়ে যাওয়ার পথে রাত চারটার দিকে বকুল মারা যান।
ঘটনাটি নিশ্চিত করে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশ বকুলের মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে ওসি জানান।
অন্যদিকে শাহবাজপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তোজাম্মেল হক ও শিবগঞ্জ থানা পুলিশের বরাত দিয়ে আমাদের শিবগঞ্জ প্রতিনিধি এ কে এস রোকন জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে শ্বশুরবাড়ি শিয়ালমারায় গিয়ে পাগলা নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হন। খোঁজাখুঁজির পর শনিবার সকালে পাগলা নদীর জামতলা ব্রিজের পাশে মরদেহটি স্থানীয়রা দেখতে পেলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ একজন বৃদ্ধের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মারা যাওয়া ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে ওসি জানান।