চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলায় দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রবিবার সকালে গোমস্তাপুর উপজেলায় এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে শনিবার দুপুরে শিবগঞ্জে এক গৃহবধূর মরহেদ উদ্ধার করে পুলিশ।
গোমস্তাপুর প্রতিনিধি জানান, উপজেলার একটি আমবাগান থেকে নুর নেহার (৬৬) নামে এক বৃদ্ধার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে গোমস্তাপুর থানা পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের নাদেরাবাদ গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের তৈসুদ্দিনের স্ত্রী।
ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় গোমস্তাপুর থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃদ্ধা নুর নেহার শনিবার রাতে কোনো এক সময় বাড়ি থেকে হন। তাকে না পেয়ে রাতেই পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেন। সকালে স্থানীয়রা ওই গ্রাম-সংলগ্ন বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে বৃদ্ধা নুর নেহারের ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন তারা। পুলিশ খবর পেয়ে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওই বৃদ্ধা মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে পরিবার ও স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।
এদিকে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ ও স্থানীয় সূত্র জানান, প্রায় সাত বছর আগে সানোয়ারা বেগমের সাথে সুজন আলীর বিয়ে হয়। এটি ছিল সুজন আলী দ্বিতীয়বার বিয়ে। এরপর থেকেই পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। শনিবার সকালে ননদদের সাথে টিউবওয়েলের পানি খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া হবার পর দুপুরে কান্নার শব্দ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় স্বামী ও শ^শুরবাড়ির সদস্যরা সানোয়ারা বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে মৃত্যুর বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সটকে পড়েন স্বামী সুজনসহ স্বজনরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মদ আলী জানান, দুর্লভপুর থেকে কয়েকজন সানোয়ারা নামে এক গৃহবধূকে নিয়ে আসে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদেরকে জানানো হয়, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় রোগীর স্বজন ও স্বামী পালিয়ে গেলে পুলিশকে খবর দেয়া হয় এবং তারা মরদেহ নিয়ে যায়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এঘটনায় সানোয়ারা বেগমের ভাই বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে মামলা দায়ের করেছেন।