চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে সমলয়ে আমন চাষাবাদের জন্য আধুনিক পদ্ধতি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের আলিনগর মাঠে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মু. জিয়াউর রহমান।
পরে একই স্থানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপাশা হোসাইন। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান।
মাঠ দিবসে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফিরোজ আলীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেনÑ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা, ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নূহ, আলিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মুহাম্মদ মাসুম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার ও কৃষক তাহের আলী।
কৃষক তাহের আলী জানান, তিনি প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন। তার কোনো ধারণা ছিল না এ পদ্ধতি সম্পর্কে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় চাষাবাদ করছেন। কৃষিতে যন্ত্রপাতির ব্যবহারের কারণে উৎপাদন খরচ কমবে বলে তিনি ধারণা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষে অর্থের অপচয় কম হয়, শ্রমিক কম লাগে, অতিরিক্ত মজুরি ও সময় সাশ্রয় হয়। সরকারের কৃষি প্রণোদনার আওতায় এই পদ্ধতিতে কৃষক বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ, চারা উৎপাদন ও রোপণ এবং ধান কাটার সুবিধা পায়। এর আগে বোরো মৌসুমে রহনপুর ইউনিয়নের ষাড়ব্রুজ মাঠের কৃষকরা এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে লাভবান হয়েছেন। চলতি আমন মৌসুমে আলিনগর মাঠের ৫৬ জন কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছেন। কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ট্রে পদ্ধতিতে চারা বপন করা হয়। মাত্র ২০ দিনে ব্রি-৭৫ ধানের চারা তৈরি করা হয়েছে। তা ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলো। পর্যায়ক্রমে বাকি কৃষকের জমি এই পদ্ধতির আওতায় আনা হবে। ব্রি-৭৫ ধানের জীবনকাল ১০০ থেকে ১১৫ দিন। কৃষক এই ধান করে সরিষার চাষাবাদ করতে পারবে।
সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে প্রচুর ভর্তুকি দিচ্ছেন; যাতে কোনো জমি পতিত না থাকে। আধুনিক এ পদ্ধতিতে কৃষকরা ধানচাষ করলে তারা স্বল্প সময়ে ও কম খরচে আবাদ করতে পারবে। কৃষকদের এ পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণের জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এখন আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে শ্রমিক সংকট সমাধান হয়ে যাচ্ছে। কৃষকের অর্থ কম লাগছে, সময় সাশ্রয় হচ্ছে।