চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বন্যা ও খরা সহনশীল জাতের ধান চাষে কৃষককে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষে কৃষক মাঠ দিবস ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বুধবার উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট (ইরি) আয়োজিত এ কৃষক প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন। প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মঞ্জুরুল হুদা ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট (ইরি) প্রতিনিধি কৃষিবিদ ড.সাইফুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,আন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট (ইরি) প্রতিনিধি ড.হারুনুর রশিদ,পাবর্তীপুর ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গানিউল ইসলাম ও আব্দুর রাকিব,ইউপি সদস্য ইমাইনুল বিশ্বাস,কৃষক মুকুল আলী প্রমূখ। এরআগে ওই এলাকার কৃষক মুকুল আলীর জমিতে চাষকরা বিনা-৭ ও ব্রি ধান-৭১ ধান কর্তনের মধ্য দিয়ে মাঠ দিবস উদ্যাপন করা হয়। কৃষক প্রশিক্ষণে ধান বিজ্ঞানীরা জানান,ব্রিধান-৭১ একটি খরা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান। পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা এ ধানে প্রতি বিঘায় ১৬ মন করে ধান উৎপাদিত হয়েছে। কম সেচে এ ধানের চাষ করা হয়। এছাড়া এ ধানের জীবনকাল তুলনামুলকভাবে কম হওয়য়ায় আবাদের পর ওই জমিতে গম,আলু ও রবি শস্যের আগাম চাষের সুযোগ রয়েছে বলে ধান বিজ্ঞানীরা জানান। প্রসঙ্গতঃ চলতি রোপা আমন মৌসুমে এবার কম বৃষ্টিপাতের কারণে সেচের অভাবে উপজেলার প্রায় ৩০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং প্রায় দেড়শতাধিক কৃষক পরিবার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তবে এবার আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে ।