চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউপির বিশুক্ষেত্র গ্রামের গোলাম রাব্বানীর (৪৫) মৃত্যুর প্রায় দেড়বছর পর কবর থেকে তার লাশ উঠানো হয়েছে। গোমস্তাপুর উপজেলার আমলী আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য এই লাশ উঠায় গোমস্তাপুর থানার পুলিশ।
বুধবার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিপাশা হোসাইন, গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. খালিদুর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোমস্তাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত আলীর উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
শওকত আলী ও মৃত গোলাম রাব্বানীর স্বজন এবং গোমস্তাপুর আমলী আদালতে হত্যা মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির শয়নকক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় গোলাম রাব্বানীকে। স্বাভাবিক মৃত্য হিসেবে দাফনও করা হয়। কিন্তু এ ঘটনার পর গোলাম রাব্বানীর দ্বিতীয় স্ত্রী সেরিনা বেগম প্রথম স্ত্রী মাবিয়া খাতুনসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শওকত আলী বলেন, মামলার বাদী মৃতের ছোট স্ত্রী সেরিনা বেগম গত বছর ২০ জুন আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোমস্তাপুর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তের স্বার্থে গোলাম রাব্বানীর মরদেহটির ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত মরদেহটি উত্তোলনের অনুমতি দেন এবং আজ বুধবার দুপুরে কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। তদন্ত রিপোর্টের জন্য গোলাম রাব্বানীর মরদেহটি বিকেলে রাজশাহী পাঠানো হয়েছে।