গর্ভবতীদের জন্য সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চালু রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা

17

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ দেশের সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে গর্ভবতী মায়েদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা চালু রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিন উপস্থাপনের শুরুতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান যেমন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভবতী মায়েদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা চালু আছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিকটস্থ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে ৪টি গর্ভকালীন সেবা নেয়া যাচ্ছে। প্রসবকালীন যে কোনো জটিলতা এড়াতে নিকটস্থ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিরাপদ প্রসব সেবা নিতে পারবেন।’
তিনি বলেন, দেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এএনসি বা প্রসবপূর্ব এবং পিএনসি বা প্রসবোত্তর সেবা কর্নার আছে। যেখানে মিডওয়াইফসহ দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন। সেখানে সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে গর্ভবতী মায়েদের প্রসবপূর্ব ও প্রসবোত্তর সেবা দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি এএনসি-পিএনসি কার্ডে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বর দেয়া হচ্ছে। যে কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ এবং মোবাইল সেবা গ্রহণ করতে পারেন। গর্ভকালীন পাঁচটি বিপদচিহ্ন যেমন- চোখে ঝাপসা দেখা বা তীব্র মাথাব্যথা হওয়া, খিঁচুনি হওয়া, প্রসবের পূর্বে হঠাৎ রক্তপাত হওয়া, ভীষণ জ্বর হওয়া এবং প্রসব বিলম্বিত হওয়া এগুলোর যে কোনো একটি উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে নিকটস্থ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান বা স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
গর্ভবতী মায়ের প্রতি পরিবারের সদস্যদের বিশেষ যতœ নেয়ার পরামর্শ দিয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য যেমন- টাটকা ফল, শাকসবজি, আমিষ সমৃদ্ধ খাবার, বিভিন্ন প্রকার ডাল, মাছ-মাংস-ডিম-দুধ খেতে দেবেন। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গর্ভকালীন বেশি পরিমাণে খাবার দিতে হবে। গর্ভস্থ শিশুর বয়স যত বাড়বে, সাথে সাথে খাবারও বাড়াতে হবে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রথম ৩ মাসে ১০০ থেকে ২০০ ক্যালরি খাবার বেশি দরকার, দ্বিতীয় ৩ মাসের সময় ২০০ থেকে ৪০০ ক্যালরি এবং তৃতীয় ৩ মাসের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০০ ক্যালরির বেশি খাবার গর্ভবতী মায়েদের প্রয়োজন। মাছ, মাংস, ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে। কাঁচা দুধ খাওয়া যাবে না। খাওয়ার আগে ফলমূল এবং রান্নার আগে সবজি ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।’