খালেদ ভুঁইয়া ও জিকে শামীমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

26

বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ক্যাসিনোকা-ে আলোচিত যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া (জিকে) শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুজনের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা হয়েছে।
জিকে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন। অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় শামীমের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। অন্যদিকে খালেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের আরেক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। এই মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকা টাকা অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়।
গত ১৮ সেপেটম্বর ঢাকার ক্লাবপাড়ায় অভিযান শুরুর প্রথমদিনেই গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে ধরা হয়। তার বাসা থেকে পাওয়া যায় ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশী মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র। একই সঙ্গে অভিযান চলে ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে। খালেদ ফকিরাপুলের ওই ক্লাবের সভাপতি। কয়েক ঘণ্টার অভিযানে ওই ক্লাবে মদ আর জুয়ার বিপুল আয়োজন পাওয়া যায়। সেখান থেকে ২৪ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে খালেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয় গুলশান থানায়। আর মতিঝিল থানায় মাদক আইনে করা হয় আরেকটি মামলা।
অন্যদিকে যুবলীগ নেতা পরিচয়ে ঠিকাদারী ব্যবসা চালিয়ে আসা জিকে শামীমকে গুলশানের নিকতনে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে নগদ প্রায় ২ কোটি টাকা, পৌনে ২০০ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব। তখন শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। শামীমের বিরুদ্ধেও মাদক, মুদ্রা পাচার ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়েছে।