সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on মার্চ ৩, ২০২৫ by

ক্লান্তি দূর করতে ইফতারে যা খাবেন

রোজায় ইফতারে খাবারের উপর অনেকটাই নির্ভর করে সুস্থতা। ইফতারের সময় অনেকেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়, এমন খাবার খেয়ে ফেলেন। যার মধ্যে ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড, অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার, সোডা বা কোমল পানীয় অন্যতম। এসব খাবার পরবর্তী সময়ে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য সময় যে পরিমাণ খাবার খাওয়া হয়, রোজায় তার চেয়ে এক তৃতীয়াংশ কম খেতে হবে। বিশেষ করে সারাদিন রোজা রাখার পর আপনি ইফতারে কী কী খাবেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে এমন সব খাবার খাওয়া ঠিক নয়, যেগুলো আপনার ক্লান্তি আরও বাড়িয়ে দেয়। ইফতারের মেন্যু এমনভাবে ঠিক করুন যাতে সারাদিন রোজা রাখার পর এই খাবারগুলো আপনার শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং ক্লান্তি দূর করবে। দেখে নিন ইফতারে কোন খাবারগুলো আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করবে-

পর্যাপ্ত পানীয় গ্রহণ করুন
সারাদিন রোজা রাখার ফলে শরীরে পানির অভাব দেখা দিতে পারে, যা ক্লান্তির একটি প্রধান কারণ। ইফতারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় গ্রহণ শরীরের পানির অভাব পূরণে সহায়তা করে। তাজা ফলের রস, লেবুর শরবত, ডাবের পানি, আখের রস এবং গুড়ের শরবত ইফতারে রাখা যেতে পারে। এগুলো শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ও পুষ্টি জোগাতে সহায়ক।

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। ইফতারে ডিম, মাছ, মুরগির মাংস বা ডাল রাখা যেতে পারে। ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোলিন এবং টাইরোসিন থাকে, যা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

শাকসবজি ও ফলমূল
শাকসবজি ও ফলমূল ভিটামিন ও ফাইবারের ভালো উৎস, যা শরীরের সেরোটোনিন লেভেল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং মুড ভালো রাখতে পারে। ইফতারে সবুজ শাকসবজি, পাকা আনারস, লাল টমেটো ইত্যাদি রাখা যেতে পারে।

খেজুর
পুষ্টিকর ফল খেজুর। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক। খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই খেজুর থেকে আসে। এছাড়া ডায়াবেটিস থাকলে প্রচলিত খেজুরের বদলে শুকনো খেজুরকে ডায়েটে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।

হালকা ও সুষম খাবার
ইফতারে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও ভারী খাবার পরিহার করে হালকা ও সুষম খাবার গ্রহণ করা উচিত। চিড়া, কলা, টক দই, ঝোলা গুড় বা মধু ইফতারে রাখা যেতে পারে, যা সহজপাচ্য এবং পুষ্টিকর।

বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার
বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা শরীরে কোলেস্টেরল তৈরিতে সাহায্য করে। কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি ইফতারে রাখা যেতে পারে।

 

About The Author

শেয়ার করুন