শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on নভেম্বর ২৭, ২০২৪ by

ক্যারিয়ারে অনেক পরিচালককেই ছাড় দিয়েছি : মৌসুমী হামিদ

বিজয়ের মাসে অর্থাৎ আগামী ৬ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে লাক্স তারকা মৌসুমী হামিদ অভিনীত নতুন সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। এটি নির্মাণ করেছেন সোহেল রানা বয়াতি। সিনেমাটি প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, নতুন পরিচালক, অসাধারণ গল্প, অদ্ভুত সুন্দর লোকেশন, তা ছাড়া সিনেমাটোগ্রাফার ছিলেন জাতীয় পুরস্কার পাওয়া কমল দাদা সবকিছু মিলিয়ে সুন্দর একটা কাজ করেছি। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবিনি। এখানে যারাই কাজ করেছেন তাদের এখনো পারিশ্রমিক দিতে পারেননি পরিচালক। আমরা সবাই নামমাত্র পারিশ্রমিকে কাজটা করেছি। সিনেমাটি বিক্রি করে বা স্পনসর পেলে তখন সেটা দেবে। সিনেমার বাজেট ছিল না তারপরও কাজটি করতে রাজি হলেন কেন, এমন প্রশ্নে মৌসুমীর উত্তর, বাজেট-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পরিচালক আগেই স্পষ্ট করে নিয়েছেন আমাদের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, কোনো স্পনসর পাইনি, নান্দনিক নাট্যদল স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি সিনেমা নির্মাণ করতে চাইছি। তখন আমি তাকে বলেছিলাম স্ক্রিপ্ট পাঠাও। স্ক্রিপ্ট পড়ার পর টাকাপয়সার জন্য চিন্তা করিনি। তা ছাড়া এটাই প্রথম না, আমার পুরো ক্যারিয়ারে অনেক পরিচালককেই ছাড় দিয়েছি। যদি স্ক্রিপ্ট ভালো হয়, তখন অর্থের ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করিনি। কাজটা করেছি। শিল্পী হয়ে পরিচালকদের পাশে যে দাঁড়ালেন, পরে পরিচালক সেটা মনে রাখেন কি না, এমন প্রশ্নে তার উত্তর, একজন শিল্পী হিসেবে ছাড় দেওয়া আমার দর্শন। স্ক্রিপ্ট ভালো হলে বা গল্প ভালো হলে পেমেন্টের জন্য কখনো কাজ বন্ধ করে দিইনি। আমি কাজ করেছি। তার পরবর্তী সিনেমায় রাখবে কি না সে আশায় কোনো কাজ করিনি। কাউকে বিপদের সময় সাহায্য করলে সে প্রতিবার তার বিপদের সময়েই স্মরণ করবে। ভালো সময়ে কখনো স্মরণ করবে না। তবে দেখা গেছে, ওইসব পরিচালক পরে আর আমাকে মনে রাখেন না। অভিমানের কারণে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ক্যারিয়ারে এমন অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। কোনো পরিচালকের প্রথম সিনেমা মুক্তির পর তার পেছনে অনেক প্রযোজক, নায়ক, নায়িকা চলে আসেন। তারা যখন বড় বাজেটের সিনেমার কাজ পান, তখন আমাকে আর তাদের মনে থাকে না। প্রথম প্রথম খুব মন খারাপ হতো। ভাবতাম যখন তাকে কেউ চিনত না, তখন আমি তাকে কাজটা করে দিলাম। এখন বড় হাউজের কাজ করছে অথচ আমাকে একবারও ডাকল না। এটা দুনিয়ার নিয়ম না, তবে আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে অনিয়ম করা। আমাদের বিপদের সময় যখন কেউ পাশে থাকে, ভালো সময় আমরা তাদেরই সবার আগে ভুলে যাই। কখনো কখনো খুব অভিমান হতো, কিন্তু এখন আর অভিমান করি না। এখন চিন্তা করি, যে কাজটা করব, মন থেকে করব। ভালোভাবে করার চেষ্টা করব। কারও থেকে কোনো কিছুই আশা করব না। তাহলে আর মন খারাপ হবে না, অভিমান হবে না। মেনে নিয়েছি, যেখানে শিল্পীর শিল্পের কদর হয় না, সেখানে অভিমানের মূল্য কে দেবে?

About The Author

শেয়ার করুন