চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাবুডাইং আমবাগানে কিশোর শামির হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে লুণ্ঠিত চার্জারভ্যান, ভ্যানের ব্যাটারি ও মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন রাত সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার বাবুডাইং এলাকায় একটি আমাবাগানের ভেতরে ১৪ বা ১৫ বছরের অজ্ঞাতনামা এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। এঘটনায় শামিরের মা বাদী হয়ে ১৯ জুন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় এজাহার দিলে হত্যাসহ কয়েকটি ধারায় মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ।
এরপর পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিহত শামিরের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সদর মডেল থানা পুলিশ।
ঘটনাস্থলসহ আশপাশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২ জন আসামির পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে, আসামিদ্বয় গত ১৮ জুন নাচোল থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছে। পরবর্তীতে হাজতি আসামি নাচোল উপজেলার মুসলিমপুর জোনাকিপাড়ার মো. আবুল কবিরাজের ছেলে মো. আকবারুল ইসলাম (২০) ও মুসলিমপুর গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে মো. মমিন (২৬)কে পুনঃগ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, গত ১৭ জুন এই আসামিদ্বয় সকাল ১০টার দিকে আমনুরা শিমুলতলা মোড় হতে বাবুডাইং এলাকায় বাগানে আম পাড়ার কথা বলে শামিরের চার্জার ভ্যান ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে তারা চার্জারভ্যানের চালক শামিরসহ বাবুডাইং এলাকার একটি আমাবাগানে যায় এবং চার্জার ভ্যানের চালক শামিরকে কৌশলে আমাবাগানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে মুখম-লসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এসময় শামিরের চার্জার ভ্যান ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। পরে গত ২০ জুন দিবাগত রাতে আসামিদের নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আসামিদ্বয়ের দেয়া তথ্যমতে লুণ্ঠিত চার্জার ভ্যান ও ৪টি ব্যাটারি উদ্ধারসহ চার্জার ভ্যান ও ব্যাটারি ক্রেতাদ্বয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নাচোল উপজেলার আকবারুলের শ্বশুরবাড়ি হতে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।