Last Updated on জুলাই ১৪, ২০২৪ by
কারাগার ভেঙে পালানোর চেষ্টাকালে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৮
কারাগার ভেঙে পালানোর চেষ্টাকালে কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন কারারক্ষী ছিল, বাকি ৫ জন মৃত্যুদ- পাওয়া কয়েদি ছিল। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৮ জন কয়েদি ও ৩ কারারক্ষী। তবে শেষপর্যন্ত কোনো কয়েদি পালাতে পারেনি। আফ্রিকান দেশ সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে এ ঘটনা ঘটে। রোববার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমলিয়া সরকারের নিরাপত্তা সূত্র জানায়, যে কয়েদিরা পালানোর চেষ্টা করেছিল তারা আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী আল-শাবাবের সদস্য ছিল। কারাগারের নিরাপত্তাব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে গোপনে অস্ত্র সরবরাহের পর এই কয়েদিরা পালানোর পরিকল্পনা করেছিল। দেশটির সেনাবাহিনীর কারারক্ষীর মুখপাত্র কর্নেল আব্দিকানি খালাফ জানান, গত শনিবার শহরের প্রধান কারাগারে সশস্ত্র কয়েদিরা পালানো চেষ্টা করলে কারাগারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। কয়েদিরা কারাগারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো কয়েদি পালাতে পারেনি। সোমালিয়ার জাতীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, নিরাপত্তাবাহিনী একটি অপারেশন শেষ করেছে, যেখানে মৃত্যুদ- পাওয়া সন্ত্রাসীরা কারারক্ষীদের ওপর হামলা করেছিল। কারাগারটির আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আবদিরহমান আলী এএফপিকে বলেন, কারাগারের ভেতরে একটি বিস্ফোরণ ঘটে এবং এরপর ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী শুসেব আহমেদ বলেন, আমার ভাই কারাগারের নিরাপত্তারক্ষীদের একজন সদস্য। আমি ভাইকে ফোন করেছিলাম তিনি বললেন যে, আল-শাবাবের বেশ কয়েকজন বন্দী গোপনে অস্ত্র এবং গ্রেনেড সংগ্রহ করেছে এবং পালানোর চেষ্টা করেছে।