চাঁপাইনবাবগঞ্জে কলেজের ভুলে ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছিলেন রিফাত শাহরিয়ার নামের এক পরীক্ষার্থী। তবে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁনের হস্তক্ষেপে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এদিকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাওয়ায় শঙ্কা কেটে গিয়ে রিফাতের মনে শান্তি ফিরে এসেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন নবাবগঞ্জ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী মো. রিফাত শাহরিয়ার ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এবার এ কলেজ থেকে ৪৯ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার কথা। কিন্তু অন্যদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র এলেও রিফাত শাহরিয়ারের আসেনি।
সূত্রটি জানায়, ফরম ফিলাপের সময় ভুলবশত মো. রিফাত শাহরিয়ারের ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ হয়নি। ফলে তার প্রবেশপত্র আসেনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো সুরাহা করতে না পারায় রিফাত শাহরিয়ার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগটি পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আনিছুর রহমানকে বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনিছুর রহমান বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে রিফাত শাহরিয়ার ফরম ফিলাপের ভুলের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড রিফাত শাহরিয়ারের ফরম ফিলাপ সঠিকভাবে করে প্রবেশপত্র প্রদান করার ব্যবস্থা করেন। ফলে আগামী ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন মো. রিফাত শাহরিয়ার।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আনিছুর রহমান জানান, নবাবগঞ্জ টেকনিক্যাল ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী আসন্ন ৬ নভেম্বর কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না এ মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগটি পাওয়া মাত্রই জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন স্যার আমাকে নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে আমি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাথে কথা বলে পরীক্ষা দেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
এদিকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার ব্যবস্থা করায় জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আনিছুর রহমানের নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন রিফাত শাহরিয়ার।
