বিধিনিষেধ কাটিয়ে পুনরায় সরকারি-বেসরকারি স্কুল খুলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সী তরুণদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু করেছে ভারত। গতকাল বুধবার থেকে এই টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ ছাড়া টিকাদান কার্যক্রমের আওতা ও গতি বাড়াতে, গুরুতর কোনো শারীরিক অসুস্থতা না থাকলে ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের জন্য বুস্টার ডোজ নেওয়ার সীমাবদ্ধতাও তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ভারত সরকারের। এদিকে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এক টুইট বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘আমাদের নাগরিকদের টিকা দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রচেষ্টায় আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।’ দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ভারতে ৫ কোটি শিশু ‘কর্বিভ্যাক্স’ টিকা পাবে। গত মাসেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিএ) ১২ থেকে ১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের জন্য বায়োলজিক্যালই লিমিটেডের তৈরি করোনার টিকা কর্বিভ্যাক্সের চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেয়। ২৮ দিনের মধ্যে এই টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে। দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায় কর্বিভ্যাক্স টিকা। এর আগে গত জানুয়ারিতে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয় ভারতে। বিভিন্ন স্কুল, হাসপাতাল এবং টিকাদান কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হয় শিশুদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের একটি বড় সংখ্যক স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হচ্ছে। সরকার জানিয়েছে, যাদের জন্ম ২০০৭ সালে বা তার আগে, শুধু তারাই টিকা নেওয়ার উপযুক্ত।