করোনার সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে মানুষের মধ্যে এক অদ্ভুত ভীতির জন্ম নিয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে অনেকে সব ধরনের বিধি নিষেধ অনুসরণ করছেন। তারপরও সামান্য কিছু অসতর্কতার কারণে কেউ কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন এই ভাইরাসে। সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক, গ্লাভস, চশমা, ফেস শিল্ড পরা, ভালো করে হাত ধোওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি নিজেদের পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর দিতে বলছেন তারা। গত কয়েক মাসে বাইরে থেকে এসে হাত, পা, মুখ ভালো করে ধোওয়া, বাইরের পোশাক ধুয়ে ফেলা, গোসল করা ইত্যাদি এখন অনেকেরই নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুরক্ষার জন্য মাস্ক, গ্লাভস, ফেস শিল্ড ও হাত ধোওয়ার পাশাপাশি যারা চশমা ব্যবহার করেন তাদের এই জিনিসটাও পরিষ্কার রাখা দরকার। বাইরে থেকে ফিরে মাস্ক এবং গ্লাভস ভালো করে ধোয়ার পাশাপাশি চশমা পরিষ্কার ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যেমন-
১. চশমা মাথার উপরে রাখা এবং যখন তখন খুলে পকেটে ঢুকিয়ে দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
২. বাইরের থেকে বাড়িতে আসার পর মাস্ক, গ্লাভস ও ফেস শিল্ড যেভাবে পরিষ্কার করছেন, ঠিক সেইভাবেই চশমাটা সাবান ও পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর টিস্যু পেপার বা নরম কাপড় দিয়ে মুছে নিতে পারেন
৩. চশমা ব্যবহারের আগে ভালো করে সাবান দিয়ে নিজের হাত মুখ ধুয়ে নিন। তারপর অবশ্যই চশমার ফ্রেম ও হ্যান্ডেল স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৪. চশমা রাখার বাক্স এবং চশমা পরিষ্কার করার টিস্যু নিয়মিত স্যানিটাইজার বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৫. চশমা রাখার আগে বাক্সটি স্যানিটাইজ করে নেবেন।
৬. বাক্সের ভেতরে চশমা ঢোকানোর আগে চশমাটি স্যানিটাইজ করুন এবং লেন্সের দিকটি উপরের দিকে রাখুন।
৭. অফিসের টেবিলে, বাথরুমের বেশিনের পাশে চশমা রাখলে তা পরার আগে স্যানিটাইজ করুন। সূত্র: বোল্ড স্কাই