টাঙ্গাইলে জমিদার পন্নী পরিবারের সাদত আলী খান পন্নী সতেরো শতকের প্রথমদিকে করটিয়াতে বসবাস শুরু করেন। তিনি ও তার বংশ পরবর্তীতে করটিয়ার জমিদার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। সাদত আলী খান পন্নী প্রায় ২১ বছর ধরে (১ ফেব্রুয়ারী ১৮৭১ থেকে ২৬ মার্চ ১৮৯২) জমিদার বাড়ির প্রায় গাঁ ঘেঁষে করটিয়া জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ নির্মাণ করেন। মসজিদ নির্মাণের শুরু থেকে এ মসজিদের বয়স হিসেব করলে মসজিদটি ১৪৬ বছর পুরান। বর্তমানে এ মসজিদের নাম করটিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। মোগল স্থাপত্য শৈলীতে করটিয়া জমিদার বাড়ি জামে মসজিদটি নির্মিত। আদি মসজিদটি মুলত ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট। মাঝেরটি বড় ও দুই পাশে ২টি ছোট গম্বুজ। ভেতরে ৩ কাতারে নামাজ পরার ব্যবস্থা। পরবর্তীতে আরো ২ কাতার বৃদ্ধি করা হয়। এই সম্প্রসারিত ২ কাতারের ছাদে ৫ টি সম-আকৃতির গম্বুজ। আদি মসজিদ ও প্রথম সম্প্রসারণ জমিদার সাদত আলী খান পন্নী কর্তৃক সম্পাদন হয়েছিল। ২য় সম্প্রসারিত অংশে কোনো গম্বুজ নেই। এ অংশটি জমিদার ওযাজেদ আলী খান পন্নী কর্তৃক সম্প্রসারিত হয়েছিল। মসজিদ কমিটি ৩য় সম্প্রসারণের কাজ হাতে নিয়েছেন। এ সম্প্রসারণের পর পূর্ব দিক থেকে এ মসজিদের আদি সৌন্দর্য আর কখনই দেখা যাবে না। মসজিদের মূল অংশে আজও টিকে আছে নান্দনিক ৩ টি ঝাড়বাতি। মেহরাবকে কেন্দ্র করে দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ চোখে পরার মতো। মসজিদের সামনের অংশে জমিদার পরিবারের কবরস্থান।
যেভাবে যাবেন ঃ মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সারাদিন নিয়মিত বিরতিতে বেশ কযকেটি পরিবহনের বাস (নিরালা, ধলেশ্বরী, ঝটিকা) টাঙ্গাইল যায়। বাসে গেলে টাঙ্গাইলের আগেই করটিয়া বাইপাস এ নেমে যেতে হবে। বাইপাস থেকে রিকসায় ১০ মিনিটের দূরত্ব।