বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on নভেম্বর ৫, ২০২৪ by

কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ২০ নভেম্বর

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মো. আবু তাহের এ দিন ধার্য করেন।
এদিন খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার আইনজীবী তার পক্ষে হাজিরা দেন।
মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ বিচারাধীন ছিল। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিশেষ জজ আদালত-৩ বদলি করেন। আদালতে মামলাটির প্রথম ধার্য তারিখ হওয়ায় বিচারক আগামী ২০ নভেম্বর অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন ও হান্নান ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৩ জন। এর মধ্যে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। অন্য আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল মারা যান। বর্তমানে খালেদা জিয়া ছাড়াও এ মামলার অন্য ৯ আসামি হলেনÑ সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান এবং সাবেক জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদক উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন করা হয়।

About The Author

শেয়ার করুন