শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ by

ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ। আগামী সোমবার হোয়াইট হাউজে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন বাইডেন। বৈঠকে গাজা সংঘাত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে সহযোগিতা, সুদানের সংকট এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম আল-মনিটর এই খবর জানিয়েছে। গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে আমিরাতের উদ্বেগের মধ্যে এই সফরের খবর এলো। ২০২২ সালে আমিরাতের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ওয়াশিংটনে এটিই শেখ মোহাম্মদের প্রথম সফর। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরের খবরটি এমন সময় এলো যখন গাজা সংকট মোকাবিলায় ইসরায়েলি পদক্ষেপ নিয়ে ক্রমবর্ধমান হতাশা দেখাতে শুরু করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। গাজায় সংঘাত কমার কোনো লক্ষণ নেই এবং সেখানে মৃতের সংখ্যা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে। আব্রাহাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে আবুধাবি। তবে গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বর্তমান ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে দেশটির। সংঘাত বন্ধে পূর্ববর্তী প্রচেষ্টাগুলো ব্যর্থ করে গাজা যুদ্ধ এখন এক বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। এমন সময় সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবদুল খালেক আবদুল্লাহ আল-মনিটরকে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই পোস্টটি এক কোটি ৮০ লাখ বার দেখা হয়েছে। এই মর্মস্পর্শী বিবৃতিটির উদ্দেশ্য ছিল একটি বৃহত্তর শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানো। আর সেটি একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতির চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এটি ইসরায়েল ও আমেরিকা উভয়ে পক্ষকে নিয়েই হতাশার প্রকাশ। তারা খুব বেশি কথা বলছে, তবে কাজ করছে না।’ গত বুধবার সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও দেশটির শুরা কাউন্সিলের একটি অধিবেশনে একই কথার প্রতিধ্বনি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দেশটি তার অক্লান্ত পরিশ্রম বন্ধ করবে না এবং আমরা নিশ্চিত করছি, এমনটি না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না সৌদি আরব।’ ইসরায়েল ও সৌদি আরব দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা বিষয়ক একটি চুক্তি নিয়ে কাজ করছিল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণ এবং গাজায় পরবর্তী যুদ্ধের ঠিক আগে একটি চুক্তির ‘দ্বারপ্রান্তে’ ছিল তারা।

About The Author

শেয়ার করুন