প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোভিড মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক সংকটের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জাতিসংঘের এসডিজি-৩সহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও চ্যাথাম হাউস কমিশনের কো-চেয়ার হেলেন ক্লার্ক তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য কৌশলগত পরিকল্পনা ২০১১-২০৩০ বাস্তবায়নে কাজ করছে।
সাক্ষাৎকালে, প্রধানমন্ত্রী ফার্মাকিউটিক্যাল শিল্পের আরো উন্নয়নের জন্য তার সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে হেলেন ক্লার্ককে অবহিত করেন। তিনি ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, এই খাত থেকে এখন ১০০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে, সরকার দেশে গবেষণা পরিচালনা, কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য ভ্যাকসিন উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কারিগরি সহায়তায় গোপালগঞ্জে একটি ভ্যাকসিন উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে।
জবাবে নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনসহ বিশেষ ওষুধ রপ্তানিকারক হতে পারে।
আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন (ইউএনজিএ)তে তার আসন্ন অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি নিউইয়র্কে সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজসহ অন্যান্য জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষা করছেন।
এ সময় হেলেন ক্লার্ক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)র মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজমবিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং স্বাস্থ্য সচিব ডা. মো. আনোয়ার হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।