এমবাপ্পেদের মিশন এখন ‘ফাইনাল’
সিগন্যাল ইডুনা পার্ক অজেয়ই থেকে গেলো পিএসজির। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ধরাশায়ী করতে পারেনি। হেরেছে ১-০ গোলে। এই অবস্থায় ইউরোপ সেরার মঞ্চে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে রাত ১টায় দ্বিতীয় লেগে জয়ের বিকল্প নেই ফরাসি জায়ান্টদের। ব্যবধানও হতে হবে ডর্টমুন্ডের চেয়ে বেশি! চাইলে চার বছর আগের ম্যাচ থেকেও প্রেরণা নিতে পারে তারা। শেষ ষোলোয় ডর্টমুন্ডের মাঠে হেরেও ঘরের মাঠে দলটিকে বিদায়ের পথ দেখাতে পেরেছিল। ঘরের মাঠে হওয়ায় দলটির প্রাণভোমরা কিলিয়ান এমবাপ্পেও ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। যার ক্লাবটির সঙ্গে সাত বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটতে যাচ্ছে! তার ওপর দলটা এখনও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতেনি। সব মিলে শেষ মৌসুমটা নিজের জন্য তো বটেই, পিএসজির জন্যও স্মরণীয় করে রাখার প্রত্যয় ফরাসি তারকার, ‘আমরা নিশ্চিত ফলটা বদলে দিতে পারবো এবং ফাইনালে যেতে পারবো।
এখন আমাদের ওপর অনেক চাপ। এটা খ্বু স্বাভাবিক কারণ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল সামনে।’ প্রথম লেগে ডর্টমুন্ড ১-০ গোলে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় লেগটা অন্তত দুই গোলে জিততে হবে পিএসজির। দলটির কোচ লুইস এনরিকে অবশ্য ব্যবধান নিয়ে ভাবছেন না। তার লক্ষ্য শুধু জয়ের দিকে, ‘শুধু দুই গোলের ব্যবধান রেখে জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করছি না। আমাদের লক্ষ্য জয়ের দিকে।’ এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘দুই গোলের কথা মাথায় রাখলে মনে হয় লক্ষ্যটা বুঝি অনেক বড়। আমরা শুধু খেলতে চাই এবং স্কোর করতে চাই।’ তিন মৌসুমে এবারই প্রথম সেমিফাইনাল খেলছে পিএসজি। এনরিকে তাই বাড়তি সতর্কও। ৯০ মিনিটের খেলা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামিয়ে খেলতে গেলে যে ঝুঁকি আছে সেটার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘দুই মিনিটে দুটি গোল করতেই পারেন। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে গোলও হজম করা সম্ভব এই সময়ে। তাই আক্রমণের পাশাপাশি রক্ষণেও শতভাগ মনোযোগ রাখতে হবে।’