শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪ জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on জানুয়ারি ৩০, ২০২৫ by

এবার যুক্তরাজ্য থেকে কোকা-কোলা প্রত্যাহার

এবার যুক্তরাজ্যের বাজার থেকে নিজেদের কোমল পানীয় প্রত্যাহার করে নিচ্ছে কোকা-কোলা। বোতলজাত এসব পানীয়তে ‘ক্লোরেট’ নামক রাসায়নিকের ‘উচ্চ মাত্রা’ শনাক্ত হওয়ার পর, কোকা-কোলা কোম্পানির বোতলজাতকরণ অংশীদার প্রতিষ্ঠান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁগুলোতে পাঠানো কোকা-কোলা অরিজিনাল টেস্ট, কোকা-কোলা জিরো সুগার, ডায়েট কোক এবং স্প্রাইট জিরো ক্যান প্রত্যাহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি সুপারমার্কেটগুলোতে পাঠানো ৬ বাই ২৫০ মিলি অ্যাপলেটাইজার মাল্টিপ্যাকও প্রত্যাহার করা হচ্ছে। গত সোমবার ইউরোপ জুড়ে কোকা-কোলার পণ্য প্রত্যাহারের পরে এই ঘোষণা এলো। কোকা-কোলা ইউরোপ্যাসিফিক পার্টনারস, যারা কোম্পানির বোতলজাতকরণের দায়িত্বে রয়েছে তারা বলছে, এই রাসায়নিকের কারণে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম। কোকা-কোলার ৩২৮ জিই থেকে ৩৩৮ জিই পর্যন্ত উৎপাদন কোডের অধীন ক্যানগুলো প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে কোম্পানিটি নিশ্চিত করেছে যে, যুক্তরাজ্যে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ পণ্য, যার মধ্যে সাধারণ ক্যান, কাঁচের বোতল ও প্লাস্টিক বোতল অন্তর্ভুক্ত, এই প্রত্যাহারের আওতায় পড়ে না। গত সোমবার বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ এবং নেদারল্যান্ডসে কোকা-কোলা পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার করার পর এবার যুক্তরাজ্য থেকেও প্রত্যাহার করা হচ্ছে। বেলজিয়ামের গেন্ট শহরের উৎপাদন কেন্দ্রে নিয়মিত পরীক্ষার সময় ক্লোরেটের উচ্চ মাত্রা শনাক্ত হয় বলে এএফপি নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ক্লোরেট সাধারণত ক্লোরিন-ভিত্তিক জীবাণুনাশক ব্যবহার করে পানি পরিশোধন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সময় উৎপন্ন হতে পারে। উচ্চ মাত্রার ক্লোরেট শরীরে প্রবেশ করলে থাইরয়েডজনিত সমস্যার কারণ হতে পারে, বিশেষ করে শিশু ও নবজাতকদের জন্য এটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এনএইচএস এবং ব্যক্তিগত পুষ্টিবিদ ক্যারন গ্রাজেট বলেন, আমাদের ভাবতে হবে, আমরা কি এমন রাসায়নিক উপাদানযুক্ত সফট ড্রিংক গ্রহণ করতে চাই, যা আতশবাজি ও জীবাণুনাশক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, যদিও তা খুবই সামান্য পরিমাণে? অতিরিক্ত ক্লোরেট গ্রহণ করলে বমি, ডায়রিয়া, রক্তের অক্সিজেন শোষণের ক্ষমতা হ্রাস এবং শরীরের অসুস্থতা সৃষ্টি হতে পারে। তবে কোকা-কোলা বলছে, গ্রাহকদের জন্য ঝুঁকি কম। কোকা-কোলা ইউরোপাসিফিক পার্টনার্স জানিয়েছে, “স্বাধীন বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, এই পণ্যগুলো গ্রহণের ফলে সাময়িকভাবে অসুস্থ বোধের ঝুঁকি খুবই কম।” কোম্পানিটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, “আমাদের পণ্যের গুণমান এবং সুরক্ষা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আমরা দুঃখিত যে, এক্ষেত্রে আমাদের অল্প সংখ্যক পণ্য আমাদের উচ্চ মান পূরণ করতে পারেনি এবং এর ফলে যেকোনো অসুবিধার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”

About The Author

শেয়ার করুন