এবার পদ হারালেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কাওসার

28

যুবলীগ চেয়ারম্যানের মতো একই পরিণতি হলো ক্যাসিনোকাণ্ডে নাম আসা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসারের। তাকেও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অব্যাহতি দিয়েছেন বলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।
বুধবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের একটি বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকেও তার পদ থেকে নেত্রী অব্যাহতি দিয়েছেন। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি, বিষয়টি তাকে জানিয়েছি।
ঢাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনোর কারবারের সঙ্গে যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোল্লা কাওসারেরও নাম এসেছে সংবাদমাধ্যমে। মোল্লা কাওসার ছিলেন এ ক্লাবের সভাপতি। যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে আসা জি কে শামীমের সঙ্গেও সখ্যতা ছিল মোল্লা কাওসারের। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল এরই মধ্যে কাওসার ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দেরও নির্দেশ দিয়েছে।
গতকাল বুধবার যোগাযোগ করা হলে তিনি শুধু বলেন, হ্যাঁ, আমাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এটুকু বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
মোল্লা মো. আবু কাওছারকে সভাপতি এবং পঙ্কজ দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক করে সর্বশেষ ২০১২ সালে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি হয়েছিল। মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও ওই কমিটিই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।
ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনো চালানোর বিষয়টি ধরা পড়ার পর তাতে যুবলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততার তথ্য বেরিয়ে আসে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে। এর সঙ্গে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অভিযোগ ওঠে আসে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে। যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধেও অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্যাসিনো সংশ্লিষ্ট যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত রবিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে যুবলীগের সভাপতিম-লীর বৈঠকে ওমর ফারুককে যুবলীগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আগামী ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হওয়ার কথা। তার আগেই দায়িত্ব থেকে বাদ পড়লেন সভাপতি মোল্লা কাওসার।