চাঁপাইনবাবগঞ্জের মধুমতি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা জেলার ৩৫ হাজার গ্রাহকের ১০৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনের পর রবিবার অবস্থান কর্মসূচি পালনসহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। ‘ভুক্তভোগী সকল গ্রাহক ও মধুমতি এনজিওর কর্মচারীবৃন্দে’র ব্যানারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বিপুলসংখ্যক নারী-পুরষ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- গ্রাহক বীর মুক্তিযোদ্ধা রমেশ চন্দ্র দাস, গ্রাহক দেলশাদ আলী, ফাতেমা খাতুন, নাইমুল হক, নাসিমুদ্দিন, রোকেয়া বেগম, খালেদা বেগমসহ আরো অনেকে। পরে তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী মধুমতি গ্রুপের প্রতারণার শিকার। ইতোমধ্যে আপনি মধুমতি গ্রুপের সমস্যা সম্পর্কে অবগত আছেন। আমরা চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী এ মধুমতি চক্রের প্রতারণায় পড়ে আজ প্রায় ধ্বংসের সম্মুখীন। মধুমতি গ্রুপ সমবায় ও জেলা সমাজসেবা থেকে অনুমতি নিয়ে সাধারণ জনগণের বিশ্বাস অর্জন করে। এমন অবস্থায় সাধারণ জনগণ এ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ হয়। কিন্তু বর্তমানে পুরো প্রতিষ্ঠান দ্বারা সাধারণ জনগণ বিগত ৫ মাস থেকে প্রতারিত হয়ে আসছে। এহেন পরিস্থিতিতে জীবনের শেষ আয় ফেরত না পাওয়ার আশঙ্কায় এবং সর্বস্ব হারানোর দুশ্চিন্তায় কিছু সংখ্যক গ্রাহক মৃত্যুবরণ করেছে। যা মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য অপূরণীয়।’
স্মারকলিপিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৫ হাজার সাধারণ গ্রাহকের ১০৫ কোটি টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানিয়ে দ্রুত সুষ্ঠু সমাধানের মাধ্যমে গ্রাহকের সকল অর্থ ফেরতের ব্যবস্থাসহ তিনটি দাবি তুলে ধরা হয়।
এর আগে গত শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবে একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।