দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তি ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হয়। আমাদেরকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। নাম হয় পূর্ব পাকিস্তান এবং আরেকটির নাম হয় পশ্চিম পাকিস্তান। এর মাত্র এক বছরের মাথায় ১৯৪৮ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বললেন, একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তখন আমাদের ছাত্রসমাজ এর প্রতিবাদ জানালেন।
১১ মার্চ মাতৃভাষা বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার দাবিতে সাধারণ ধর্মঘটের সময় নেতৃত্ব দেয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫২ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অনশন শুরু করেন শেখ মুজিবুর রহমান। কারাগারে তিনি দুর্বল হয়ে পড়লে পাকিস্তান সরকার তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তিনি ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। কিন্তু তার আগেই মায়ের ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হনÑ আবুল বরকত, আব্দুস সালাম, আবদুল জব্বার, রফিউদ্দিন আহমেদ, শফিউর রহমান। আহত হন নাম না-জানা অনেক ছাত্র। পরে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। এখন মায়ের ভাষা বাংলাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।
এসব ইতিহাস সবারই জানা, তারপরও বললাম। কারণ, আমরা একমাত্রা বাংলা ভাষাতেই সবকিছু হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারি, মর্মকথা বুঝতে পারি। তাই আমাদের সকলের উচিত ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা করা, ভাষার জন্য যাঁরা আন্দোলন করেছেন, তাদেরও শ্রদ্ধা করা।
সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এভাবেই মনের ভাব ব্যক্ত করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম।
একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। বেলা ১১টায় জেলা শহরের শান্তিবাগ এলাকায় ইফা’র কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক কৃষিবিদ মাহমুদার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক শামসুজ্জামান বাবু। আলোচনা সভায় ইমামগণ অংশগ্রহণ করেন।