বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on নভেম্বর ১১, ২০২৪ by

উদ্ভিদ সংরক্ষণে লাল তালিকা তৈরি করেছে সরকার : পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশে উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষে ১ হাজার উদ্ভিদ প্রজাতির একটি লাল তালিকা তৈরি করেছে সরকার।
তালিকা তৈরির মাধ্যমে আমরা উদ্ভিদের বিপদগ্রস্ত প্রজাতির সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই তালিকায় ২৭১ প্রজাতি ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত, ২৫৬ প্রজাতি তথ্য-অপ্রতুল, ৩৯৫ প্রজাতি বিপদাপন্ন, যার মধ্যে ৫টি মহাবিপন্ন, ১২৭টি বিপন্ন এবং ২৬৩টি সংকটাপন্ন। ৭০টি প্রজাতিকে প্রায় বিপদগ্রস্ত এবং ৭টি আঞ্চলিকভাবে বিলুপ্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বাংলাদেশে উদ্ভিদের লাল তালিকা বই’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এই উদ্যোগ উদ্ভিদ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে সহায়ক হবে এবং সরকারের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, এছাড়া ‘দ্য এনসাইক্লোপিডিয়া অব ফ্লোরা অ্যান্ড ফাউনা অব বাংলাদেশ’র তথ্য অনুযায়ী, ৩ হাজার ৮১৩টি উদ্ভিদ প্রজাতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যেগুলোর ভবিষ্যতে মূল্যায়ন জরুরি। এই তালিকা নীতিনির্ধারক ও গবেষকদের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে কাজ করবে। এটি পরিবেশগত স্থিতিশীলতা অর্জনে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অবদান রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, উদ্ভিদ রেড লিস্ট সংরক্ষণবিদদের জন্য অপরিহার্য তথ্য ভা-ার হবে, যা সংরক্ষণ প্রচেষ্টা ও সম্পদের কার্যকর বরাদ্দ নিশ্চিত করবে।
তিনি আরো বলেন, আগ্রাসী উদ্ভিদ প্রজাতির প্রভাব হ্রাসের জন্য আমরা পাঁচটি নির্বাচিত সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বিশেষ ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়ন করেছি। গবেষণায় বাংলাদেশে ১৭টি আক্রমণাত্মক উদ্ভিদ প্রজাতি চিহ্নিত করা হয়েছে, যেমন কচুরিপানা ও আসাম লতা। এগুলো পরিবেশে বিপর্যয় ডেকে আনছে এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এই কৌশলগুলোর মধ্যে আক্রমণাত্মক প্রজাতির ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিকীকরণ রোধ, এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির প্রয়োগ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই উদ্যোগগুলো বন ও বনসম্পদ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএসএম হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এনভায়রনমেন্টাল স্পেশালিস্ট ইশতিয়াক সোবহান ও আইই সিএনের প্রতিনিধি সরওয়ার আলম।

About The Author

শেয়ার করুন