পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। ইমরান খানের ভবিষ্যত সুতোয় ঝুলে আছে বলে মনে করছেন দেশটির আইন প্রণেতারা। বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে পারে। এরপর দেশটির জাতীয় পরিষদে ইমরানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আগামী ৩ এপ্রিল ভোটাভুটি হওয়ারও কথা রয়েছে। জিও টিভির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বড় ব্যবধানে অনাস্থা ভোটে হেরে যেতে পারেন ইমরান। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইমরান খানের মিত্ররা তাঁর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দল ত্যাগ করেছে এবং বিরোধীদের পাল্লা ভারি করেছে।
পাকিস্তানে ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে বিরুদ্ধে ১৭২ ভোট পড়লেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরানের মেয়াদে হ্রাস পড়বে। এ পরিস্থিতিতে তাঁর প্রধান মিত্র মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছে। এর অর্থ হলো বিরোধী শিবিরে ১৭৫টির বেশি ভোট চলে গেছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে নির্বাচিত হওয়া ইমরান খান দুর্নীতি মোকাবেলা এবং অর্থনীতি ঠিক করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থেমে নেই। তিনি তাঁর সমর্থকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়, সেটা দেখানোর জন্য গত রোববার ইসলামাবাদে বিশাল সমাবেশেরও আয়োজন করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে জিও টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯-১৪২ ভোটে পিছিয়ে পড়তে যাচ্ছেন ইমরান খান। তবে চূড়ান্ত ফলের জন্য ৩ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ওইদিন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝুঁকির মুখে দেশটির সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ইমরান একাধিক বৈঠক করেছেন। দেশটির তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন। ফাওয়াদ বলেছেন, ইমরান খান সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছেন। কেউ তাকে পদত্যাগ করতে বলেনি। আর প্রধানমন্ত্রীরও এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই। সূত্র: বিবিসি।