বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

Last Updated on মে ১৩, ২০২৪ by

‘ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত নওয়াজ শরিফ’

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে সংলাপে বসতে প্রস্তুত দেশটির ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন। গত রোববার পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রানা সানাউল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের প্রয়োজন রয়েছে। নিঃশর্ত আলোচনাই সমস্যার সমাধান এবং একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার একমাত্র উপায়। তিনি বলেন, পিটিআই একটি বড় রাজনৈতিক দল তা অস্বীকার করার উপায় নেই। একই সঙ্গে নওয়াজ শরিফ ও আসিফ আলি জারদারিও একটি বাস্তবতা। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও সংলাপের ওপর জোর দেন রানা সানাউল্লাহ। তবে সংলাপের শর্ত হিসেবে আদিয়াল কারাগারে বন্দী ইমরান খানের মুক্তির বিষয়ে যেকোনো চুক্তির কথা নাকচ করে দেন শেহবাজ শরিফের এই উপদেষ্টা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করতে দলকে নির্দেশ দিয়েছেন ইমরান খান। এর জন্য দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিটিআই নেতা আরিফ আলভিকে দায়িত্ব দিয়েছেন পিটিআই প্রধান। সম্প্রতি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর পিটিআই নেতাদের ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে আরিফ আলভিকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়ার কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইমরানের দেয়া গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়নি পিটিআই। সাবেক প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি ইমারন খান ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান দূরত্ব দূর করার চেষ্টা করেছেন। আরিফ আলভি বলেছেন, আলোচনা হতে হবে। তিনি দাবি করেন, বর্তমান শাসক জোটে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রকৃতপক্ষে কোনো ক্ষমতা নেই। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে অন্য কারও সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেন, পাকিস্তানে কে বেশি ক্ষমতাধর, তা আপনারা জানেন। এসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনী জালিয়াতিতে জড়িত ছিল। সরকারে তাদের কিছু করারও নেই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোট চুরির সুবিধাভোগী হচ্ছে পিএমএল-এন, পিপিপি ও মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট।

About The Author

শেয়ার করুন