Last Updated on সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪ by
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানে বিক্ষোভ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছে হাজারো মানুষ। গত রোববার ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ইসলামাবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত জাতীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনের পর প্রথমবার এত বড় সমাবেশ করতে পারলো পিটিআই। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। পিটিআইয়ের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দি রয়েছেন ইমরান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওগুলোতে খানের সমর্থকদের দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীর দিকে মার্চ করতে দেখা গেছে। তবে ইসলামাবাদ প্রশাসন শহরের প্রধান প্রবেশ পয়েন্টগুলো ব্লক করে রাখে। এ ছাড়া রাস্তায় কনটেইনার দিয়ে ব্যারিকেড ও দাঙ্গা পুলিশও মোতায়েন রাখে। ফলে বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে পিটিআইয়ের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ। পিটিআই সমর্থক রবিনা গফুর আল জাজিরাকে বলেন, সমাবেশে পৌঁছানো খুবই কঠিন ছিল। সমস্ত রাস্তা বন্ধ ছিল। তবে আমরা সংকল্পবদ্ধ। ইমরান খানের সঙ্গে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত থাকবো। পিটিআই বলেছে,সরকার কর্মীদের হয়রানি করে সমাবেশে অংশগ্রহণ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। স্থানীয় সামা নিউজে প্রচারিত দৃশ্যে দেখা গেছে,ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়ছে,আর পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করছে। সমাবেশের উদ্বোধনী বক্তৃতায় খানের ঘনিষ্ঠ সহচর হাম্মাদ আজহার বলেন, ‘আমরা খানের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেব না।’ লাহোর থেকে পিটিআই নেতা এবং বিশিষ্ট আইনজীবী সালমান আকরাম রাজা বলেন, ইমরান খানই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এই দেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অদক্ষ রাজনীতিবিদদের কবল থেকে রক্ষা করতে পারেন। সমাবেশের শেষের দিকে পুলিশের সঙ্গে পিটিআইয়ের কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। ইসলামাবাদ থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক কামাল হায়দার বলেছেন, খানকে গ্রেপ্তারের পর এই প্রথম পিটিআইকে ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। এর আগে কয়েক মাস ধরে পিটিআই রাজধানীতে জনসভার অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে তিনি কারাবন্দি আছেন। তার বিরুদ্ধে ৯ মে সমর্থকদের সহিংসতার উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বিচার চলছে। অন্য একটি মামলায় তার স্ত্রীও কারাবন্দি রয়েছেন। ইমরান খান তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তার বেশিরভাগ দ- স্থগিত হয়েছে অথবা খারিজ করা হয়েছে।