Last Updated on এপ্রিল ৫, ২০২৪ by
আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন বেলজিয়ামের ১২ পর্যটক
’’প্রত্যন্ত একটি অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে একটি বিদ্যালয়। যেখানে শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে পড়ালেখা করে। অনেক শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি কৃষিকাজ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নিজেদের পড়ালেখাসহ সংসারের খরচ বহন করে। এটি আবেগপ্রবণ একটি বিষয়। শিক্ষার্থীদের এমন বাস্তবমুখী জীবনব্যবস্থা মন ছুঁয়ে যায়।”
শুক্রবার বাবুডাইং আলোর পাঠশালা ভ্রমণে এসে এমনই মন্তব্য করেছেন বেলজিয়ামের একটি পর্যটক দলের সদস্য হিলদে নিলে জি. ক্লেজ। দলে ছিলেন ৫২ থেকে ৭৮ বছর বয়সী ১২ জন পর্যটক। তাঁদের মধ্যে সাতজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। দলের নেতৃত্ব দেন জন ভিসকার। দলটির গাইড ছিল ইকো অ্যাডভেঞ্চার বাংলাদেশ নামে একটি পর্যটন সংস্থা।
সকাল নয়টায় তাঁরা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং গ্রামে এসে উপস্থিত হন। প্রথমে তাঁরা কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অধ্যুষিত গ্রামটি ঘুরে দেখেন। তাঁদের জীবনযাত্রার বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নেন। এরপর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আসতেই বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের সদস্যরা তাঁদের ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। তাঁদের সামনে উপস্থাপন করেন কোলদের ঐতিহ্যবাহী দাশাই, ঝুমুর নাচ-গান। এসময় পর্যটকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে তাদের পড়ালেখার অবস্থা জানেন। তাদের পারিবারিক বিষয়ে খোঁজ নেন। শেষে শিক্ষার্থীদের জন্য তাঁরা শিক্ষাসামগ্রী উপহার দেন।
ইকো অ্যাডভেঞ্চার বাংলাদেশ-এর প্রধান মাহাদী হাসান বলেন, আমাদের সংস্থাটি বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গা ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বিদেশী পর্যটকদের নিয়ে যায়। এতে আমাদের দেশের ঐতিহ্য ও বিভিন্ন সংস্কৃতি বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে দেশকে বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে পেরে আমি আনন্দিত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর, সহকারী প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস, সিনিয়র শিক্ষক লুইশ মুরর্মু, সাঈদ মাহমুদ, সুদর্শন পাল, নির্মল কোল।