ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফানে’র আঘাতে দেশের উপকূলীয় জেলায় অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ও ৩ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইর্মাজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে হতাহতের এ তথ্য জানা গেছে।
নিহতরা হলেন- পটুয়াখালীর কলাপাড়ার স্বেচ্ছাসেবী সৈয়দ শাহ আলম (৫৪), গলাচিপার পানপট্টির রাশেদ (৫), ভোলার চরকচ্ছারিয়ার মো. সিদ্দিক, রোবরহানউদ্দিনের রফিকুল ইসলাম (৩৫), পিরোজপুর মঠবাড়িয়ার দাউদখালি উপজেলার শাহাজান মোল্লা (৫৫), চট্টগ্রামের স›দ্বীপের সালাউদ্দিন (১৬)।
এছাড়াও অজ্ঞাত নিহতদের তালিকায় কমলনগরের ১ জন, যশোরের চৌগাছায় ২ জন এবং ঝিনাইদহে ১ জন রয়েছে।
নিহতরা নৌকা ও ট্রলারডুবি, গাছ ও দেয়াল চাপা পড়ে এবং পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
আহতদের মধ্যে বরিশালের হিজলা, পটুয়াখালীর গলাচিপা ও ভোলার চরফ্যাশনের একজন করে রয়েছেন।
এদিকে ‘আম্ফান’ এখন স্থল নিম্নচাপের রূপ নিয়ে দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করছে। দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি চলে আসার পর বুধবার সকালে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছিল বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস।