আমি কোনো কাজে বিফল হইনি : নবীনবরণ ও পরিচিতি সভায় ওদুদ এমপি

41

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও পরিচিতি এবং অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু সংলগ্ন বারঘরিয়ায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির খেলার মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ। জেলার অন্যতম এই প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হলে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সরকারের অর্থায়নে পৃথক দুটি হোস্টেল ও তাদের বহনের জন্য একটি বাস দেয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান। এসময় তিনি বলেন- একটি জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদ সদস্যদের যৌবনকাল হচ্ছে প্রথম দুই বছর। কারণ এই দুই বছরে সরকার উন্নয়ন কাজের তালিকা নেয় এবং পাঁচ বছরের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে, বাজেট দেয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সেই সময়টা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। সেই যৌবনকালটা আমাদের নেই। হাতে যেটুকু সময় আছে তার মধ্যেই চেষ্টা করে কাজগুলো করতে হবে। তিনি বলেন- আমি চেষ্টা করে কোনো কাজে বিফল হইনি। এজন্য আমার এবং আমার দল আওয়ামী লীগের ওপর ভরসা রাখতে পারেন।
আব্দুল ওদুদ বলেন, ছাত্রাবাস নির্মাণের বিষয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসক সাহেবের সঙ্গেও মতবিনিময় করেছি। ক্যাম্পাসের ভেতরে ছাত্রাবাস থাকলে ছাত্রদের বখে যাবার সম্ভাবনা থাকে না। তারা একটি গ-ির মধ্যে থেকে ভালো পরিবেশে লেখাপড়া করার সযোগ পাবে। এ প্রসঙ্গে তিনি ছাত্রছাত্রীদের বলেন, তোমরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে লেখাপড়া করতে এসেছ, প্রত্যেকের মা-বাবা অনেক কষ্ট করে তোমাদের মানুষের মতো মানুষ করার জন্য এখানে পাঠিয়েছেন। কাজেই তোমরা ভালোভাবে লেখাপড়া করবে। এসময় তিনি দেশের ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এ জেম এম মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেক্ট্রিক্যাল টেকনোলজি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর আফিদা রহমান জানান, ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে সীমতি আকারে দুটি টেকনোলজি বিভাগে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে চলমান টেকনোলজি বিভাগ ছয়টি। বিভাগগুলো হচ্ছে- ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রনিকস, কম্পিউটার, মেকাট্রনিকস, আর এসি ও ফুড। আসন সংখ্যা ১ হাজার ২০০টি, ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের বেশি।
বক্তারা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে কারিগরির শিক্ষার্থীরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।