Last Updated on ডিসেম্বর ১, ২০২৪ by
আমাদের দায়িত্ব দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়া : স্মরণ সভায় জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ বলেছেন, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা যে উদ্দেশ্যে, যে লক্ষ্য নিয়ে আন্দোলন করেছেন, অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন বিপ্লব ঘটিয়েছেন, এগুলো তখনই সাফল্যমণ্ডিত হবে যখন আমরা আমাদের নিজনিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবো। তারা যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, ক্ষুধা এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমরা যারা প্রশাসনিক পদে কর্মরত আছি, আমাদের দায়িত্ব হবে দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ, নতুন সমাজ উপহার দেয়া।
শনিবার সকালে ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে’ তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন- আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, আমরা যেন এমন একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে পারি, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না, দুর্নীতি থাকবে না। এই বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে, আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা আপনারা আগেও যেমন ছিলেন, আগামীতেও আমাদের সাথে একসঙ্গে থেকে একতাবদ্ধ হয়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন। আপনারা যেমনটি স্লোগানে বলেছিলেন, যুদ্ধ এখনো শেষ হয় নাই। সত্যিই যুদ্ধ শেষ হয় নি। আমাদেরকে একতাবদ্ধ থেকে সকল অপশক্তির অপকৌশল প্রতিহত করতে হবে। আমাদের মধ্যে যেন কোনো বিভেদ না থাকে, সকল শ্রেণী পেশার জনগণ সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। তাহলেই আন্দোলনের যে উদ্যেশ্য ছিল তা সফল হবে বলে আমি বিশ^াস করি।
সভায় আরো বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, স্থানীয় সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার, নিহত তারেক হোসেনের পিতা আসাদুল ইসলাম ও মতিউর রহমানের স্ত্রী রোজিনা খাতুন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আহ্বায়ক আব্দুর রাহিমসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশিনার আমিনুল ইসলাম।
সকালে জেলা শহরের শহিদ সাটু অডিটরিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই সভায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় নিহত চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা এলাকার তারেক হোসেনের পিতা আসাদুল ইসলাম ও শিবগঞ্জ উপজেলার কমলাকান্তপুরের মতিউর রহমানের স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে ১ লক্ষ করে ২ লক্ষ টাকা এবং বিভিন্নস্থানে আহত ১১জনকে ২০ হাজার করে টাকা ও উপহার সামগ্রি সকলকে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়।