Last Updated on নভেম্বর ২১, ২০২৪ by
আমন ধান কাটার উৎসব শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর, সদর, শিবগঞ্জ ও ভোলাহাট উপজেলায় বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা যে ফসল তৈরি করেছেন। সেই সোনালী ফসল আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের উৎসব শুরু হয়ে গেছে। মাঠ থেকে কেটে তা মাড়াই করে সেই ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়েছেন কৃষকরা।
যেদিকে চোখ যায় দেখা যায় সোনালী ধানের শিষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। কেউ ব্যস্ত ধান কাটতে তো কেউ বা আঁটি বাঁধতে, কেউ আবার মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বাড়ির আঙ্গিনায় আবার কেউ মাঠের মধ্যেই খোইলান করে ধান মাড়াই করছেন।
অন্যদিকে যেসব জমির ধান জমিত থেকে তোলা হয়ে যাচ্ছে সেইসব জমিতে গম, সরিষা, মসুর, ভূট্টা বীজ বপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকেই।
নাচোল উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক মনিরুল ইসলাম জানান, এবছর ১৩বিঘা জমিতে ব্রি ৫১ জাতের ধান চাষাবাদ করেছি। ধান ভালো হয়েছে। গড় ফলন বিঘাপ্রতি ২০ থেকে ২১মণ হবে বলে আশা করছি। এবছর বিঘাপ্রতি ২৪ থেকে ২৫মণ ফলনের আশা ছিল। কিন্তু শিষ ফোটার সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকগুলো শিষ মরে যাওয়ায় সেই আশা পূরণ হবে না।
তিনি আরো বলেন, জমি চাষাবাদে হাল, শ্রমিক, পানি, সার ও কিটনাশক ব্যবহারে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে সেই তুলনায় শুরুতেই ধানের দাম কমপক্ষে দেড় হাজার টাকা হলে অনেকটাই স্বস্তি আসবে কৃষকের মনে।
শডুলা গ্রামের কৃষক শ্রী দিলিপ কুমার জানান এবছর ৪বিঘা জমিতে ৫১জাতের ধান চাষাবাদ করেছি। বিঘাপ্রতি ২২ থেকে ২৩মণ ফলনের আশায় বুক বেঁধেছি।
শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগরের কৃষক আব্দুল এবং সিটু মিয়া জানান এবছর ১২বিঘা জমিতে একই জাতের চাষাবাদ করেছি। খুব একটা ভালো ফলন হবে না। ধান কাটা মাড়াই শেষ হলে, গম, সরিষা ও ভূট্টা বীজ বুনবো।
নাচোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রায়হানুল ইসলাম জানান, চলতি বছরে ২২ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে ৫১জাতসহ অন্যান্য ধান চাষাবাদ হয়েছে।
এবছর বিঘাপ্রতি গড় ফলন ১৮মণ ধরা হয়েছে।