আবারো রাজশাহী সিটির মেয়র হলেন লিটন

21

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আবারো নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ নিয়ে টানা দুইবার এবং তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন তিনি। নৌকা প্রতীকে তিনি ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়েছেন। রাতে রাজশাহী সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন তাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
এর আগে বড় কোনো অনিয়ম ছাড়াই রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। তবে সময়ের পরেও যারা কেন্দ্রে ছিলেন তাদের ভোট নেয়া হয়েছে। রাজশাহীতে ২ হাজার ৫০০টি ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এক হাজার ৪৬৩টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে রাজশাহী সিটিতে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছে কমিশন।
রাজশাহী সিটিতে ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ১৫৩টি ভোটকক্ষে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেনÑ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার।
ভোটের পরিবেশ শান্ত রাখতে সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৩০টি মোবাইল ফোর্স, প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের একটি করে মোট ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রতি থানায় একটি করে মোট ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য একটি করে মোট ১৬টি র‌্যাবের টিম ও পাঁচটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য এক প্লাটুন করে মোট সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও বুধবার পর্যন্ত ৩০ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে থাকবেন।